তীর্থনাথ শর্মা
তীর্থনাথ শর্মা | |
---|---|
জন্ম | ২৩ অক্টোবর ১৯১১ জরাবারী বামুণ গাঁও, শিবসাগর |
মৃত্যু | ২৩ অক্টোবর ১৯৮৬ |
পেশা | অধ্যাপক, অধ্যক্ষ |
ভাষা | অসমীয়া, সংস্কৃত |
জাতীয়তা | ভারত |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
শিক্ষা | এম এ |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার[১] |
দাম্পত্যসঙ্গী | নির্মলা দেৱী |
তীর্থনাথ শর্মা (ইংরেজি: Tirtha Nath Sharma; অসমীয়া: তীর্থনাথ শর্মা) অসমের একজন সু-সাহিত্যিক, সফল শিক্ষাবিদ, সংস্কৃত ভাষার বিদগ্ধ পণ্ডিত, সমালোচক, গল্পকার, কবি, জীবনী লেখক, শিশু সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও ভারতত্ববিদ ছিলেন। তিনি প্রায় বহুসংখ্যক উচ্চ প্রশংশিত গ্রন্থ রচনা করে অসমীয়া সাহিত্যে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। ছাত্রাবস্থার থেকে তিনি স্বদেশী আন্দোলনে যোগদান করেছিলেন। তাছাড়াও তিনি কলকাতার এ.এস.এল.ক্লা ও গান্ধী সাহিত্য পরিষদ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ইত্যাদির সদস্য ছিলেন। তিনি কামধেনু নামক একটি অসমীয়া আলোচনা পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন। ১৯৯৬ সনে বেনুধর শর্মা গ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। গান্ধীজীর আদর্শ ও জীবন দর্শনে তার গভীর ভাবে বিশ্বাস ছিল। তাই তিনি ১৯২৬ সনে মহাবিদ্যালয় ত্যাগ করে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে গড়ে উঠা আইন অমান্য আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন ফলে তিনি কারাগার প্রাপ্ত হয়েছিলেন। তিনি অভিনয়, সংগীত, বাদ্য যন্ত্র বাজানো, ধর্মীয়, রাজনীতি ইত্যাদি বিভিন্ন দিকে পারদর্শী ছিলেন।
জন্ম ও শৈশব জীবন
[সম্পাদনা]১৯১১ সনের ২৩ অক্টোবর তারিখে শিবসাগরের আমগুরি সমষ্টির ভূঞাহাট পঞ্চায়তের অন্তর্গত জরাবারী বামুন গাঁও নামক স্থানে তীর্থনাথ শর্মার জন্ম হয়। তার পিতার নাম গোপাল চন্দ্র শর্মা ও মাতার নাম চেনেহি দেবী। তিনি যোরহাট ১নং প্রেকটিশিং বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করার পর যোরহাট সরকারি হাইস্কুল ও জাঁজী হাইস্কুল থেকে শিক্ষা লাভ করেন। ১৯২৯ সনে তিনি তেজপুর সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। উক্ত বৎসরে তিনি গুয়াহাটির কটন কলেজে নামভর্তী করেন। ১৯৩২ সনে প্রথম বিভাগে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৩৪ সনে কটন কলেজ থেকে সংস্কৃত বিষয়ে অনার্স সহ বি.এ পাশ করেন। ১৯৩৬ সনে তিনি নির্মলা দেবীর সহিত বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ হন। বিবাহের ১বৎসর পর অর্থাৎ ১৯৩৭ সনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন।[২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯৩৮ সনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসমীয়া বিভাগে অধ্যাপনা আরম্ভ করেন ও ১৯৫০ সন পর্যন্ত সুদীর্ঘ বারো বৎসর বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.আই.এল বিভাগে অধ্যাপক রুপে কার্যনির্বাহ করেন। ১৯৫১ সনে তিনি আসাম বর্ড অফ মিউজিক স্থাপন করেন। ১৯৫৪ সনে প্রাগজ্যোতিষ মহাবিদ্যালয় স্থাপন করে অধ্যক্ষরুপে নিয়োজিত হন। ১৯৬৭ সনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অসম শাখার কার্যকরী সভাপতি নিয়োজিত হন। ১৯৭১ সনে তিনি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৬২ সনে সংসদীয় আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দিতা করেন।[২]
সাহিত্যক জীবন
[সম্পাদনা]১৯৭১ সনে অসম সাহিত্য সভার মাকুম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।[৩] ১৯৮৭ সনে ফেব্রুয়ারি মাসে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।৷[২] তিনি বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ রচনা করা ছাড়াও কামধেনু নামক একটি অসমীয়া আলোচনা পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন। তিনি উপনিষদের অসমীয়া অনুবাদ করে অসমীয়া সাহিত্যতে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
- কাম সেন্দুর (কবিতা সংকলন)
- পঞ্চপুষ্প (প্রবন্ধ সংকলন)
- সাহিত্য বিদ্যা পরিক্রমা
- আউনিআটী সত্রর বুরঞ্জী
- বেণুধর শর্মা (সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার) প্রাপ্ত গ্রন্থ
- ভক্তিবাদ
- ঝান্সীর রাণী লক্ষীবাঈ
- কামাখ্যারাম বরুয়া
- প্রবেশিকা কথা চানেকি
- চানেকি পাঠ
- গান্ধী-শিক্ষা সার
- মহাত্মার বাণী
মৃত্যু
[সম্পাদনা]১৯৮৬ সনের ২৩ অক্টোবর তারিখে তীর্থনাথ শর্মার মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সাহিত্য অকাডেমি বঁটা বিজয়ী অসমীয়াসকলর তথ্য"। সাহিত্য অকাডেমি। ৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নৱেম্বর ১৬, ২০১২। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ গ ঘ [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ মার্চ ২০১৪ তারিখে অনুভূতি, আজির দৈনিক বাতরি, লেখক- অঞ্জন দত্ত, তথ্য সংগ্রহর সময়-২৪ অক্টোবর ২০১১
- ↑ ১৯১৭ চনর পরা অসম সাহিত্য সভার সভাপতিসকলর তালিকা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে অসম সাহিত্য সভার ৱেবছাইট, আহরণ: ১৮ নৱেম্বর, ২০১২।