(Translated by https://www.hiragana.jp/)
গোপালগঞ্জ জেলা - উইকিপিডিয়া বিষয়বস্তুতে চলুন

গোপালগঞ্জ জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৩°১২′ উত্তর ৮৯°৪৮′ পূর্ব / ২৩.২০০° উত্তর ৮৯.৮০০° পূর্ব / 23.200; 89.800
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা MdaNoman (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৫:৪৪, ১৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (MdaNoman (আলাপ)-এর করা 1 টি সম্পাদনা বাতিল করে Princemolla08 সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

গোপালগঞ্জ জেলা
জেলা
বাংলাদেশে গোপালগঞ্জ জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে গোপালগঞ্জ জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°১২′ উত্তর ৮৯°৪৮′ পূর্ব / ২৩.২০০° উত্তর ৮৯.৮০০° পূর্ব / 23.200; 89.800 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
আয়তন
 • মোট১,৪৬৮.৭৪ বর্গকিমি (৫৬৭.০৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট১১,৭২,৪১৫
 • জনঘনত্ব৮০০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৫৮.১%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৩৫
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

গোপালগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের (প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগের) একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

চিত্তাকর্ষক স্থান

  • টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স,
  • চন্দ্রা বর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ),
  • কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিকবাড়ী,
  • কবি কৃষ্ণনাথ সর্বভৌম (ললিত লবঙ্গলতা কাব্যগন্থের প্রণেতা)-র বাড়ী,
  • হরিনাহাটি জমিদার বাড়ি,
  • দিঘলীয়া দক্ষিণা কালী বাড়ি,
  • বহুতলী মসজিদ (১৫৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত),
  • সেন্ট মথুরানাথের সমাধি,
  • উজানীর জমিদার বাড়ি,
  • শ্রীধাম ওড়াকান্দি,
  • জগদান্দ মহাশয়ের তীর্থভূমি,
  • ননীক্ষীরে নবরত্ন মঠ,
  • ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদারের পৈতৃক বাড়ী,
  • ধর্মরায়ের বাড়ি,
  • দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি,
  • মধুমতি নদী,
  • বিলরুট ক্যানেল,
  • হিরন্যকান্দী আমগাছ,
  • আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি,
  • শুকদেবের আশ্রম,
  • খানার পাড় দীঘি,
  • উলপুর জমিদার বাড়ি,
  • এস.এম.মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
  • হেমায়েত বাহিনী জাদুঘর(কোটালিপাড়া)
  • ৭১-এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ),
  • রাজা সমাচার দেব, ধর্মাদিত্য ও গোপচন্দ্রের আমলের তাম্রলিপি,
  • সত্য ধর্মের প্রবর্তক দীননাথ সেনের সমাধিসৌধ (জলিরপাড়, মুকসুদপুর)।
  • পাগল সেবাশ্রম, কদমবাড়ি।
  • গওহরডাঙ্গা মাদরাসা( টুঙ্গিপাড়া)
  • বাঘিয়ার বিল(টুঙ্গিপাড়া)।
  • হোগলাডাঙ্গা বড় মসজিদ।
  • ছোট বনগ্রাম জমিদার বাড়ি,
  • ভেন্নাবাড়ী মাদরাসা, গোপালগঞ্জ সদর।
  • সুকতাইল মঠবাড়ি
  • বাটিকামারী জমিদার বাড়ি
  • শেখ রাসেল শিশুপার্ক, টুুুঙ্গিপাড়া
  • শেখ কামাল স্টেডিয়াম, গোপালগঞ্জ
  • লেকপাড়, গোপালগঞ্জ শহর
  • ব্যাসপুর বাগের জামে মসজিদ।

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে গোপালগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 

নামকরণের ইতিহাস

অনেক দিন আগে যখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিলো পুরো ভারতবর্ষ তখন আজকের বাংলাদেশ কে পূর্ববঙ্গ নামে ডাকা হতো। আর এই পূর্ববঙ্গের তৎকালীন ফরিদপুর জেলার একটি মহকুমা ছিলো আজকের গোপালগঞ্জ জেলা। এই গোপালগঞ্জ জেলা এক সময় রাজগঞ্জ নামেও পরিচিত ছিল। তখন ছিল ব্রিটিশ রাজত্ব।গোপালগঞ্জ অঞ্চলটি মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদার রাণি রাসমনির দায়িত্বে ছিল।তিনি এক জেলে কন্যা ছিলেন। তিনি একদিন এক ইংরেজ সাহেবের প্রাণ রক্ষা করেন।তখন ছিল সিপাই মিউটিনির সময়। পরবর্তীতে তারই পুরস্কার স্বরূপ ইংরেজরা তাকে সম্পূর্ণ মাকিমপুরে অঞ্চল দিয়ে দেন। রানী রাসমনির নাতি ছিলেন গোপাল। সেই গোপালের নামানুসারে রাজগঞ্জের নাম হয় গোপালগঞ্জ।

ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা

বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে মধুমতি নদী বিধৌত একটি জেলা। ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ১৩টি জেলার একটির নাম গোপালগঞ্জ। এই জেলা ২৩°৩৬' উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৯°৫১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এর গড় উচ্চতা ৪৬ ফুট। এ জেলার পূর্বে মাদারীপুর জেলাবরিশাল জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর জেলা, বাগেরহাট জেলাখুলনা জেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলামাগুরা জেলা এবং উত্তরে ফরিদপুর জেলা অবস্থিত। এ জেলার পূর্ব সীমানার খাটরা গ্রামের অধিবাসী হিন্দু ধর্মালম্বীরাই এ অঞ্চলে প্রথমে বসতি স্থাপন করে। ধারণা করা হয়, এটি বল্লাল সেনের আমলের (১১০৯-১১৭৯ খ্রিষ্টাব্দ) ঘটনা। এর আয়তন ১৪৮৯ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। নারী-পুরুষের অনুপাত প্রায় সমান সমান। মুসলমান ৭৩.৬২%, হিন্দু ২৫.১৩%, খ্রিষ্টান ১.২০% এবং অন্যান্য ০.০২%। শিক্ষার গড় হার ৫৮.১% ( ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)। জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা কৃষি। প্রধান ফসল ধান, পাট, আঁখ ও বাদাম। বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদির মধ্যে রয়েছে চিনা, কাউন, আউশ ধান। জেলার প্রধান রপ্তানি ফসল পাটতরমুজ। প্রাচীন নির্দেশনাদির মধ্যে আছে চন্দ্রবর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ), বহলতলী মসজিদ (১৫৪৩ খ্রিষ্টাব্দ), সেন্ট মথুরনাথ এজি চার্চ, শ্রীধাম ওড়াকান্দির শ্রী হরিমন্দির, ননী ক্ষীরের নবরত্ন মন্দির, কোর্ট মসজিদ, কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি, দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি ইত্যাদি।[১]

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

গোপালগঞ্জ জেলা ৫ টি উপজেলা, ৫ টি থানা, ৪টি পৌরসভা ও ৬৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

উপজেলাসমূহ

গোপালগঞ্জ জেলায় মোট ৫ টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:

ক্রম নং উপজেলা আয়তন[২]
(বর্গ কিলোমিটারে)
প্রশাসনিক থানা আওতাধীন এলাকাসমূহ
০১ গোপালগঞ্জ সদর ৩৮৯.৪২ গোপালগঞ্জ সদর পৌরসভা (১টি): গোপালগঞ্জ পৌরসভা
ইউনিয়ন (২১টি):

জালালাবাদ ইউনিয়ন, বৌলতলী ইউনিয়ন, শুকতাইল ইউনিয়ন, চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন, পাইককান্দি ইউনিয়ন, উরফি ইউনিয়ন, লতিফপুর ইউনিয়ন, সাতপাড় ইউনিয়ন, সাহাপুর ইউনিয়ন, হরিদাসপুর ইউনিয়ন, উলপুর ইউনিয়ন, নিজড়া ইউনিয়ন, করপাড়া ইউনিয়ন, দুর্গাপুর ইউনিয়ন, কাজুলিয়া ইউনিয়ন, কাঠি ইউনিয়ন, মাঝিগাতী ইউনিয়ন, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন, গোবরা ইউনিয়ন, বোড়াশী ইউনিয়ন

০২ টুঙ্গিপাড়া ১২৭.২৫ টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা (১টি): টুঙ্গিপাড়া
ইউনিয়ন (৫টি):পাটগাতি ইউনিয়ন,ডুমুরিয়া ইউনিয়ন,গোপালপুর ইউনিয়ন,কুশলী ইউনিয়ন,বর্ণী ইউনিয়ন
০৩ কোটালীপাড়া উপজেলা ৩৬২ কোটালীপাড়া পৌরসভা (১টি): কোটালীপাড়া পৌরসভা
ইউনিয়ন (১২ টি):বান্ধাবাড়ী ইউনিয়ন,সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন,রাধাগঞ্জ ইউনিয়ন,কলাবাড়ী ইউনিয়ন,রামশীল ইউনিয়ন,আমতলী ইউনিয়ন,কান্দি ইউনিয়ন,হিরণ ইউনিয়ন,পিঞ্জুরী ইউনিয়ন,শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন,কুশলা ইউনিয়ন,ঘাঘর ইউনিয়ন
০৪ কাশিয়ানী উপজেলা ২৯৯.৬৪ কাশিয়ানী
ইউনিয়ন(১৪টি:মহেশপুর ইউনিয়ন,কাশিয়ানী ইউনিয়ন,সাজাইল ইউনিয়ন,পারুলীয়া ইউনিয়ন,মাহমুদপুর ইউনিয়ন,রাতইল ইউনিয়ন,ওড়াকান্দি ইউনিয়ন,বেথুড়ি ইউনিয়ন,রাজপাট ইউনিয়ন,ফুকরা ইউনিয়ন,পুইশুর ইউনিয়ন,নিজামকান্দি ইউনিয়ন,সিংগা ইউনিয়ন,হাতিয়াড়া ইউনিয়ন
০৫ মুকসুদপুর উপজেলা ৩০৯.৬৩ মুকসুদপুর পৌরসভা (১টি): মুকসুদপুর
ইউনিয়ন (১৬টি):পশারগাতি ইউনিয়ন,গোবিন্দপুর ইউনিয়ন, খান্দারপাড় ইউনিয়ন,বহুগ্রাম ইউনিয়ন,বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন, ভাবড়াশুর ইউনিয়ন,মহারাজপুর ইউনিয়ন,বাটিকামারী ইউনিয়ন,দিগনগর ইউনিয়ন, রাঘদী ইউনিয়ন,গোহালা ইউনিয়ন,মোচনা ইউনিয়ন,উজানী ইউনিয়ন,কাশালিয়া ইউনিয়ন,ননীক্ষীর ইউনিয়ন,জলিরপাড় ইউনিয়ন

সংসদীয় আসন

সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৩] সংসদ সদস্য[৪][৫][৬][৭][৮] রাজনৈতিক দল
২১৫ গোপালগঞ্জ-১ মুকসুদপুর উপজেলা এবং কাশিয়ানী উপজেলা ফারুক খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২১৬ গোপালগঞ্জ-২ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা,কাশিয়ানী উপজেলা শেখ ফজলুল করিম সেলিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২১৭ গোপালগঞ্জ-৩ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা এবং কোটালীপাড়া উপজেলা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
  1. বাংলাপিডিয়া
  2. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২১ 
  3. "Election Commission Bangladesh - Home page"www.ecs.org.bd 
  4. "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯ 
  5. "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  6. "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  7. "জয় পেলেন যারা"দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  8. "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮