ব্যবস্থা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Zaheen (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১১:৫৩, ৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:ব্যবস্থা যোগ)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

ব্যবস্থা, সংস্থান, সংশ্রয় বা তন্ত্র হল পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত ও পরস্পরের উপর নির্ভরশীল একাধিক উপাদান বা অংশ মিলে গড়ে উঠে একটি মিশ্র ও জটিল সমগ্র।[১] প্রতিটি ব্যবস্থাকে এর গঠন, উদ্দেশ্য, কার্যকারিতা, স্থানগত সীমানা, সময়গত সীমানা, বেষ্টনকারী ও প্রভাবকারী পরিবেশ, ইত্যাদি দ্বারা বর্ণনা করা যায়।

অন্যদিকে, সাধারণত জটিল সামাজিক ব্যবস্থার সূত্রে, শব্দটি ব্যবহৃত হয় কতগুলো নিয়মের একটি সমষ্টিকে ব্যাখ্যা করতে যেটি কোনো কিছুর গঠন বা আচরণ নিয়ন্ত্রন করে।

ব্যবস্থার উদাহরণ ও সমার্থক পরিভাষা

  • কোনও বলের অধীনে পরস্পরের সাথে ক্রিয়াশীল একাধিক বস্তু একটি ব্যবস্থা গঠন করতে পারে। যেমন - মহাকর্ষীয় ব্যবস্থা।
  • কতগুলি বস্তু বা পদার্থের সংযুক্ত রূপ ভারসাম্যপূর্ণ বা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলে তাকে ব্যবস্থা বলা হতে পারে। যেমন - তাপগতীয় ব্যবস্থা।
  • জীবদেহের কতগুলি অঙ্গের একটি দল একত্রে মিলে এক বা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করলে তাকে তন্ত্র বলে। যেমন পৌষ্টিকতন্ত্র, কঙ্কালতন্ত্র, পেশীতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, শ্বসনতন্ত্র, সংবহনতন্ত্র, ইত্যাদি।
  • পরস্পর-সম্পর্কিত অনেকগুলি প্রাকৃতিক বস্তুর দলকে সামষ্টিকভাবে ব্যবস্থা বলে। যেমন - নদী ব্যবস্থা।
  • অনেকগুলি কৃত্রিম মানবনির্মিত যন্ত্র বা বস্তু দিয়ে যদি এক ধরনের জাল সৃষ্টি করা হয়, যার মাধ্যমে কোনও সেবা বিতরণ করা হয়, কিংবা কোনও সাধারণ উদ্দেশ্য সাধন করা হয়, তাহলে তাকে ব্যবস্থা বলে । যেমন - টেলিফোন ব্যবস্থা, তাপন ব্যবস্থা, মহাসড়ক ব্যবস্থা, কম্পিউটার ব্যবস্থা, ইত্যাদি।
  • সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক রীতিনীতি বা সংগঠনের রূপকে "তন্ত্র" বা "ব্যবস্থা" বলা হয়। যেমন - শাসনতন্ত্র, গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র, সামন্ত্রতন্ত্র, পুঁজিবাদী ব্যবস্থা, ইত্যাদি।

ইংরেজিতে অনেক সময় "সিস্টেম" পরিভাষাটি দিয়ে সুসংগঠিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত কার্যপ্রণালীকে (Procedure, "প্রোসিডিউর") বোঝায়। সেক্ষেত্রে বাংলাতে "কার্যপ্রণালী", "প্রণালী" বা "পদ্ধতি" পরিভাষাগুলি ব্যবহৃত হয়। যেমন - লিখন পদ্ধতি (Writing system)।

আবার অনেক সময় শ্রেণীকরণ, প্রতীকীকরণ বা ছকে বিন্যস্তকরণের পন্থা বা ধরনকেও ইংরেজিতে "সিস্টেম" বলা হয়, এবং এগুলিকে সচরাচর বাংলায় "পদ্ধতি" বলা হয়। যেমন - শ্রেণীকরণ পদ্ধতি, দশমিক পদ্ধতি, সংখ্যা পদ্ধতি, ইত্যাদি।

বাংলা ভাষায় কখনও কখনও "ব্যবস্থা" বলতে কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য গৃহীত পদক্ষেপকে বোঝায়। যেমন- "সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।"


তথ্যসূত্র

  1. "Definition of system"Merriam-Webster। Springfield, MA, USA। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৯