সতীশ চন্দ্র হালদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পরিষ্কারকরণ
পরিষ্কারকরণ
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
| notable_works =
| notable_works =
}}
}}
'''সতীশ চন্দ্র হালদার''' একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি [[পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭০|১৯৭০ সালের নির্বাচনে]] আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে [[ফরিদপুর-১২|ফরিদপুর ১২ আসন]] থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন।
'''সতীশ চন্দ্র হালদার''' ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি [[পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭০|১৯৭০ সালের নির্বাচনে]] আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে [[ফরিদপুর-১২|ফরিদপুর ১২ আসন]] থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন।
==জীবনী==
==জীবনী==
সতীশ চন্দ্র হালদার ১৯২৬ সালে [[কোটালীপাড়া উপজেলা|কোটালিপাড়া উপজেলা]] [[শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন|শুয়াগ্রাম ইউনিয়নে]] জন্মগ্রহণ করেন। চাখার কলেজে পড়াকালীন শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নজরে আসেন তিনি। শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের প্রেরণায় তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। পরবর্তিতে আওয়ামী লীগের সদস্য হয়ে জাতির পিতা [[বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়|বঙ্গবন্ধুর]] সহযোদ্ধা হিসেবে তিনি আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তিনি প্রথমে আমতলী ইউনিয়নের সদস্য তারপর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, পরবর্তিতে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন (ফরিদপুর-১২)। তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালিনী সভাপতি ছিলেন।
সতীশ চন্দ্র হালদার ১৯২৬ সালে [[কোটালীপাড়া উপজেলা|কোটালিপাড়া উপজেলা]] [[শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন|শুয়াগ্রাম ইউনিয়নে]] জন্মগ্রহণ করেন। চাখার কলেজে পড়াকালীন শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নজরে আসেন তিনি। শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের প্রেরণায় তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। পরবর্তিতে আওয়ামী লীগের সদস্য হয়ে জাতির পিতা [[বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়|বঙ্গবন্ধুর]] সহযোদ্ধা হিসেবে তিনি লড়াই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি প্রথমে আমতলী ইউনিয়নের সদস্য তারপর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, পরবর্তিতে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন (ফরিদপুর-১২)। তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালিনী সভাপতি ছিলেন।


তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি যুদ্ধোত্তোর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রথম সংবিধান জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে যাদের অনুমোদনে গৃহীত হয়েছিল তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন উল্লেখযোগ্য। তিনি নিজে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি কোটালিপাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন যার মধ্যে রয়েছে, শুয়াগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, দয়াল হালদার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি যুদ্ধোত্তোর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রথম সংবিধান জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে যাদের অনুমোদনে গৃহীত হয়েছিল তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন উল্লেখযোগ্য। তিনি নিজে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি কোটালিপাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন যার মধ্যে রয়েছে, শুয়াগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, দয়াল হালদার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।

১০:০৮, ১৭ মার্চ ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সতীশ চন্দ্র হালদার
জন্ম১৯২৬
মৃত্যু৮ অক্টোবর ১৯৮৪
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশারাজনীতিবিদ

সতীশ চন্দ্র হালদার ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর ১২ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন।

জীবনী

সতীশ চন্দ্র হালদার ১৯২৬ সালে কোটালিপাড়া উপজেলা শুয়াগ্রাম ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। চাখার কলেজে পড়াকালীন শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নজরে আসেন তিনি। শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের প্রেরণায় তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। পরবর্তিতে আওয়ামী লীগের সদস্য হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা হিসেবে তিনি লড়াই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি প্রথমে আমতলী ইউনিয়নের সদস্য তারপর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, পরবর্তিতে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন (ফরিদপুর-১২)। তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালিনী সভাপতি ছিলেন।

তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি যুদ্ধোত্তোর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রথম সংবিধান জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে যাদের অনুমোদনে গৃহীত হয়েছিল তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন উল্লেখযোগ্য। তিনি নিজে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি কোটালিপাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন যার মধ্যে রয়েছে, শুয়াগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, দয়াল হালদার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।

তথ্যসূত্র