উয়েফা ইউরো ২০২৪
বিবরণ | |
---|---|
স্বাগতিক দেশ | জার্মানি |
তারিখ | ১৪ জুন – ১৪ জুলাই |
দল | ২৪ |
মাঠ | ১০ (১০টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | স্পেন (৪র্থ শিরোপা) |
রানার-আপ | ইংল্যান্ড |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৫১ |
গোল সংখ্যা | ১১৭ (ম্যাচ প্রতি ২.২৯টি) |
দর্শক সংখ্যা | ২৬,৮১,২৮৮ (ম্যাচ প্রতি ৫২,৫৭৪ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা |
|
সেরা খেলোয়াড় | রদ্রি |
সেরা যুব খেলোয়াড় | লামিনে ইয়ামাল |
২০২৪ উয়েফা ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (জার্মান: Fußball-Europameisterschaft 2024; এছাড়াও উয়েফা ইউরো ২০২৪ অথবা সংক্ষেপে ইউরো ২০২৪ নামে পরিচিত) উয়েফা দ্বারা আয়োজিত চতুর্বার্ষিক আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ১৭তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব, যেখানে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফার অন্তর্ভুক্ত ২৪টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল। এই আসরটি ২০২৪ সালের ১৪ই জুন হতে ১৪ই জুলাই পর্যন্ত জার্মানির ১০টি শহরের ১০টি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই আসরের বিজয়ী দল পরবর্তীকালে ২০২৫ কনমেবল–উয়েফা কাপ অব চ্যাম্পিয়ন্সে ২০২৪ কোপা আমেরিকার বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে। এই আসরে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জর্জিয়া উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে অভিষেক করেছিলেন।
এই আসরের মাধ্যমে উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলো তৃতীয়বারের মতো জার্মান ভূখণ্ডে এবং দ্বিতীয়বারের মতো একীভূত জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, প্রাক্তন পশ্চিম জার্মানি ১৯৮৮ সালের আসরটির আয়োজক ছিল এবং একাধিক দেশের আয়োজনে উয়েফা ইউরো ২০২০-এর ৪টি ম্যাচ মিউনিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। একই সাথে লাইপ্ৎসিশ এই আসরের ম্যাচ আয়োজন করার মাধ্যমে প্রাক্তন পূর্ব জার্মানি প্রথমবারের মতো উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করছে, এর পাশাপাশি প্রথমবারের মতো একীভূত জার্মানি একক আয়োজক দেশ হিসেবে প্রতিযোগিতাটি চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করছিলেন।[১][২] কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সালের আসরটি ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্রতিযোগিতাটি পুনরায় তার স্বাভাবিক চার বছরের চক্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক আগ্রহ তৈরি করেছে এবং ৫৭% ক্রীড়া সমর্থকরা খেলা দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।[৩]
ইতালি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০২০ সালে ইংল্যান্ডের সাথে অতিরিক্ত সময় পর ১–১ গোলে ড্র করার পর পেনাল্টি শুট-আউটে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।[৪][৫][৬] কিন্তু তারা শেষ ১৬-তে সুইজারল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়ে আসর থেকে বিদায় নেয়।[৭] আয়োজক দেশ জার্মানি কোয়ার্টার–ফাইনালে স্পেনের কাছে পরাজিত হয়েছিল, যারা ইংল্যান্ডকে ২–১ গোলে পরাজিত করে স্পেন এই টুর্নামেন্ট জিতেছিল এবং তারা উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে ৪র্থ বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
আয়োজক নির্বাচন
[সম্পাদনা]২০১৭ সালের ৮ই মার্চ তারিখে উয়েফা এক ঘোষণায় জানিয়েছিল যে, নির্ধারিত সময়সীমা ২০১৭ সালের ৩রা মার্চ তারিখের পূর্বে কেবলমাত্র দুইটি দেশ (জার্মানি এবং তুরস্ক) এই আসরটি আয়োজনে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।[৮][৯]
উয়েফা নির্বাহী কমিটি একটি গোপন ভোটের মাধ্যমে আয়োজক নির্বাচন করে,[১০][১১] যেখানে জয়ের জন্য শুধুমাত্র সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যদি ভোটের সংখ্যা সমান হয়, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উয়েফার সভাপতি আলেকসান্দার চেফেরিনের উপর নির্ভর করে।[১২][১৩] উয়েফার নির্বাহী কমিটির ২০ জন সদস্যের মধ্যে রেইনহার্ড গ্রিন্ডেল (জার্মানি) এবং সের্ভেত ইয়ার্দিমজি (তুরস্ক) ভোট দিতে পারেনি, কেননা স্বদেশ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত থাকায় তারা অযোগ্য ছিল। লার্স-ক্রিস্টার ওলসন (সুইডেন) অসুস্থতার কারণে ভোটের সময় অনুপস্থিত ছিলেন। সর্বমোট ১৭ জন সদস্য এই আসরের আয়োজক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট প্রদান করতে পেরেছিলেন।[১৪][১৫][১৬]
২০১৮ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর তারিখে, সুইজারল্যান্ডের নিওঁতে আয়োজক নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[১৪][১৭][১৮] জার্মানি প্রাথমিকভাবে উয়েফা ইউরো ২০২০-এর একক আয়োজক হওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, তবে ২০১২ সালের মে মাস পর্যন্ত তারা কোন দৃঢ় আগ্রহ প্রকাশ করেনি।[১৯]
দেশ | ভোট |
---|---|
জার্মানি | ১২ |
তুরস্ক | ৪ |
অনুপস্থিত | ১ |
মোট | ১৭ |
অংশগ্রহণকারী দল ও বাছাইপর্ব
[সম্পাদনা]আয়োজক হিসেবে জার্মানি এই আসরের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে, তবে দলটি বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করেছিল; অবশিষ্ট ২৩টি অবস্থানের জন্য সর্বমোট ৫৩টি দল ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য বাছাইপর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে; বাছাইপর্বে ১০টি গ্রুপের প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দল সরাসরি বাছাইপর্বের মাধ্যমে ২০টি স্থান অর্জন করেছে, বাকি তিনটি স্থান প্লে-অফের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে।[২০] ২০২২–২৩ উয়েফা নেশনস লিগে সেরা খেলা প্রদর্শন করা দলগুলোকে প্লে-অফে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হয়েছিল, যারা ইতিমধ্যে মূল বাছাইপর্বের প্রতিযোগিতা হতে বাদ পরেছে।[২১] ২০২২ সালের ৯ই অক্টোবর তারিখে ফ্রাঙ্কফুর্টের ফেস্থালেতে উয়েফা ইউরো ২০২৪ বাছাইপর্বের প্রতিযোগিতার ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[২২][২৩] বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্ব ২০২৩ সালের মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং প্লে-অফের ম্যাচ ২০২৪ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।[২৪]
উত্তীর্ণ দল
[সম্পাদনা]এই আসরের অংশগ্রহণকারী ২৪টি দলের মধ্যে ১৯টি দল গত আসরে অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও রানার-আপ ইংল্যান্ড, ২০২২ বিশ্বকাপের রানার-আপ ফ্রান্স ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্রোয়েশিয়া। পর্তুগাল একমাত্র দল যারা পুরো বাছাইপর্বে সকল ম্যাচ জয়লাভ করে এই আসরের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল; অন্যদিকে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, হাঙ্গেরি এবং রোমানিয়া অপরাজিত থেকে উত্তীর্ণ হয়েছিল।[২৫]
আলবেনিয়া এবং রোমানিয়া ইউরো ২০২০-এ অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েও এই আসরে উত্তীর্ণ হয়েছিল; যার মধ্যে আলবেনিয়া দ্বিতীয়বারের মতো উয়েফা ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। সার্বিয়া এবং স্লোভেনিয়া উভয়ই ইউরো ২০০০-এর পর প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে উত্তীর্ণ হয়েছিল, এফআর সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো পৃথক জাতি হওয়ার পরে প্রথমবারের মতো উত্তীর্ণ হয়েছে এবং স্লোভেনিয়া একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে চতুর্থবারের মতো বড় কোন প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়েছিল।[২৬][২৭] এই আসরের প্লে-অফে পেনাল্টিতে গ্রিসকে পরাজিত করার মাধ্যমে জর্জিয়া ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়েছিল; এর মাধ্যমে জর্জিয়া এই আসরের একমাত্র দল হিসেবে উয়েফা ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক করবে এবং এর ফলে ১৯৬০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম আসরের পর থেকে প্রতিটি চূড়ান্ত আসরের মতো এই আসরেও ন্যূনতম একটি দল অভিষেক করেছিলেন।[২৮]
এই আসরে অংশগ্রহণে ব্যর্থ হওয়া উল্লেখযোগ্য দলগুলোর মধ্যে সুইডেন, রাশিয়া এবং ওয়েলস অন্যতম। সুইডেন ১৯৯৬ সালের ইউরোর পর প্রথমবারের মতো উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং ২০২২ বিশ্বকাপে বাদ পড়ার পর টানা দ্বিতীয় কোন বড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাশিয়াকে (যারা ইউরো ২০০০ থেকে নিয়মিতভাবে প্রতিটি চূড়ান্ত আসরে অংশগ্রহণ করতো) ইউক্রেনে দেশটির আক্রমণের পর বাছাইপর্ব থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, এর মাধ্যমে ১৯৯২ সালে এফআর যুগোস্লাভিয়ার পরে প্রথমবারের মতো কোন জাতীয় দলকে প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১৬ ইউরোর সেমি–ফাইনালসহ আগের দুই আসরে নকআউট পর্বে ওঠা ওয়েলস প্লে-অফে পেনাল্টিতে পোল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিয়েছেন। পূর্ববর্তী আসরে অভিষেক হওয়ার পর উত্তর মেসিডোনিয়া এবং ফিনল্যান্ড এই আসরে অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
নিষিদ্ধ রাশিয়া
[সম্পাদনা]২০২২ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর তারিখে, ক্রোয়েশিয়ার হভারে উয়েফার নির্বাহী কমিটির সভায় নিশ্চিত করা হয়েছিল যে রাশিয়া ইউরো ২০২৪-এর বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়েছিল, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে দেশটির আক্রমণের পরে উয়েফা কর্তৃক সকল বয়সী রুশ দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, যার ফলে রাশিয়া ২০০০ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।[২৯][৩০][৩১][৩২]
দল | মাধ্যম | তারিখ | অংশগ্রহণ[ক] |
---|---|---|---|
জার্মানি[খ] | আয়োজক | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১৩ (১৯৭২, ১৯৭৬, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬, ২০২০) |
বেলজিয়াম | গ্রুপ এফ-এ প্রথম স্থান অধিকারী | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৬ (১৯৭২, ১৯৮০, ১৯৮৪, ২০০০, ২০১৬, ২০২০) |
ফ্রান্স | গ্রুপ বি-এ প্রথম স্থান অধিকারী | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১০ (১৯৬০, ১৯৮৪, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬, ২০২০) |
পর্তুগাল | গ্রুপ জে-এ প্রথম স্থান অধিকারী | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৮ (১৯৮৪, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬, ২০২০) |
স্কটল্যান্ড | গ্রুপ এ-এ দ্বিতীয় স্থান অধিকারী | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৩ (১৯৯২, ১৯৯৬, ২০২০) |
স্পেন | গ্রুপ এ-এ প্রথম স্থান অধিকারী | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ১১ (১৯৬৪, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬, ২০২০) |
তুরস্ক | গ্রুপ ডি-এ প্রথম স্থান অধিকারী | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৫ (১৯৯৬, ২০০০, ২০০৮, ২০১৬, ২০২০) |
অস্ট্রিয়া | গ্রুপ এফ-এ দ্বিতীয় স্থান অধিকারী | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | ৩ (২০০৮, ২০১৬, ২০২০) |
ইংল্যান্ড | গ্রুপ সি-এ প্রথম স্থান অধিকারী | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | ১০ (১৯৬৮, ১৯৮০, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০১২, ২০১৬, ২০২০) |
হাঙ্গেরি | গ্রুপ জি-এ প্রথম স্থান অধিকারী | ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৪ (১৯৬৪, ১৯৭২, ২০১৬, ২০২০) |
স্লোভাকিয়া[গ] | গ্রুপ জে-এ দ্বিতীয় স্থান অধিকারী | ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৫ (১৯৬০, ১৯৭৬, ১৯৮০, ২০১৬, ২০২০) |
আলবেনিয়া | গ্রুপ ই-এ প্রথম স্থান অধিকারী | ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | ১ (২০১৬) |
ডেনমার্ক | গ্রুপ এইচ-এ প্রথম স্থান অধিকারী | ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৯ (১৯৬৪, ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০১২, ২০২০) |
নেদারল্যান্ডস | গ্রুপ বি-এ দ্বিতীয় স্থান অধিকারী | ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ১০ ১৯৭৬, ১৯৮০, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০২০) |
রোমানিয়া | গ্রুপ আই-এ প্রথম স্থান অধিকারী | ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৫ (১৯৮৪, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৮, ২০১৬) |
সুইজারল্যান্ড | গ্রুপ আই-এ দ্বিতীয় স্থান অধিকারী | ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৫ (১৯৯৬, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৬, ২০২০) |
সার্বিয়া[ঘ] | গ্রুপ জি-এ দ্বিতীয় স্থান অধিকারী | ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫ (১৯৬০, ১৯৬৮, ১৯৭৬, ১৯৮৪, ২০০০)[ঙ] |
চেক প্রজাতন্ত্র[গ] | গ্রুপ ই-এ দ্বিতীয় স্থান অধিকারী | ২০ নভেম্বর ২০২৩ | ১০ (১৯৬০, ১৯৭৬, ১৯৮০, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬, ২০২০) |
ইতালি | গ্রুপ সি-এ দ্বিতীয় স্থান অধিকারী | ২০ নভেম্বর ২০২৩ | ১০ (১৯৬৮, ১৯৮০, ১৯৮৮, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬, ২০২০) |
স্লোভেনিয়া | গ্রুপ এইচ-এ দ্বিতীয় স্থান অধিকারী | ২০ নভেম্বর ২০২৩ | ১ (২০০০) |
ক্রোয়েশিয়া | গ্রুপ ডি-এ দ্বিতীয় স্থান অধিকারী | ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ৬ (১৯৯৬, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬, ২০২০) |
জর্জিয়া | প্লে-অফ পথ সি-এ বিজয়ী | ২৬ মার্চ ২০২৪ | ০ (অভিষেক) |
ইউক্রেন | প্লে-অফ পথ বি-এ বিজয়ী | ২৬ মার্চ ২০২৪ | ৩ (২০১২, ২০১৬, ২০২০) |
পোল্যান্ড | প্লে-অফ পথ এ-এ বিজয়ী | ২৬ মার্চ ২০২৪ | ৪ (২০০৮, ২০১২, ২০১৬, ২০২০) |
- ↑ গাঢ় দ্বারা উক্ত বছরের জন্য চ্যাম্পিয়নকে নির্দেশ এবং বাঁকা দ্বারা উক্ত বছরের আয়োজককে নির্দেশ করা হয়েছে।
- ↑ জার্মানি ১৯৭২ হতে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত, পশ্চিম জার্মানি হিসেবে প্রতিযোগিতা করেছিল।
- ↑ ক খ স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত, চেকোস্লোভাকিয়া হিসেবে প্রতিযোগিতা করেছিল।[৩৩][৩৪][৩৫][৩৬]
- ↑ ১৯৬০ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত,সার্বিয়া ফুটবল দল যুগোস্লাভিয়া হিসেবে এবং ২০০০ সালে এফআর যুগোস্লাভিয়া হিসেবে প্রতিযোগিতা করেছিল।
- ↑ এফআর যুগোস্লাভিয়া প্রাথমিকভাবে ১৯৯২ সালে (যুগোস্লাভিয়া হিসেবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর) অংশগ্রহণ করার কথা ছিল, তবে জাতিসংঘ কর্তৃক সকল আন্তর্জাতিক খেলাধুলা থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পরে দলটি প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।
দলীয় সদস্য
[সম্পাদনা]৭ই জুনের মধ্যে অংশগ্রহণকারী ২৪টি জাতীয় দল সর্বোচ্চ ২৩ হতে ২৬ জন করে খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে তাদের দলের নিবন্ধন করতে হবে; যেখানে প্রত্যেক দলে অবশ্যই তিনজন গোলরক্ষক থাকা আবশ্যক;[৩৭] তবে প্রতিটি ম্যাচের জন্য ম্যাচ শিটে প্রতিটি দল শুধুমাত্র ২৩ জন খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
মাঠ
[সম্পাদনা]ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ আয়োজন করার জন্য উয়েফা কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম ৩০,০০০ ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যা পূরণকারী জার্মানির বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম রয়েছে।[৩৮]
জার্মানি ইউরো ২০২৪-এর জন্য নির্বাচিত দশটি মাঠের মধ্যে ৯টি ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ব্যবহার করেছে: বার্লিন, ডর্টমুন্ড, মিউনিখ, কোলন, স্টুটগার্ট, হামবুর্গ, লাইপৎসিশ, ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং গেলসেনকির্খেন।[৩৯][৪০] ডুসেলডর্ফ (যা ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করেনি, তবে ইতিপূর্বে ১৯৭৪ ফিফা বিশ্বকাপ এবং উয়েফা ইউরো ১৯৮৮-এর ম্যাচ আয়োজন করেছিল) এই আসরের দশম মাঠ হিসেবে ম্যাচ আয়োজন করবে; অন্যদিকে, হানোফার, নুরেমবার্গ এবং কাইজারস্লাউটার্ন (যা ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করেছে, অধিকন্তু হানোফারের ক্ষেত্রে ১৯৭৪ এবং ১৯৮৮-এর আসর), এই আসরের কোন ম্যাচ আয়োজন করবে না।
ব্রেমেন এবং মনশেডগ্লাডবাখের মতো অন্যান্য স্টেডিয়ামগুলো এই আসরের জন্য নির্বাচন করা হয়নি।[৪১] এই মাঠগুলো জার্মানির সকল প্রধান অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করে, তবে এই আসরে সর্বাধিক সংখ্যক মাঠসহ এলাকাটি হচ্ছে উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের রাইন-রুর মেট্রোপলিটন অঞ্চল, যেখানে ১০টি আয়োজক শহরের মধ্যে চারটি (ডর্টমুন্ড, ডুসেলডর্ফ, গেলসেনকির্খেন এবং কোলন) অন্তর্ভুক্ত।[৪২]
বার্লিন | মিউনিখ | ডর্টমুন্ড | স্টুটগার্ট |
---|---|---|---|
অলিম্পিক স্টেডিয়াম | আলিয়ানৎস আরেনা | বিভিবি স্টাডিয়ন ডর্টমুন্ড | স্টুটগার্ট এরিনা |
ধারণক্ষমতা: ৭৪,৪৬১ | ধারণক্ষমতা: ৭০,০৭৬ | ধারণক্ষমতা: ৬৫,৮৪৯ | ধারণক্ষমতা: ৫৪,৯০৬ |
গেলসেনকির্খেন | ফ্রাঙ্কফুর্ট | ||
আরেনা আউফশালকে | ফ্রাঙ্কফুর্ট এরিনা | ||
ধারণক্ষমতা: ৫৪,৭৪০ | ধারণক্ষমতা: ৫৪,৬৯৭ | ||
হামবুর্গ | ডুসেলডর্ফ | কোলন | লাইপৎসিশ |
ফোক্সপার্কস্টাডিয়ন | ডুসেলডর্ফ এরিনা | কোলন স্টেডিয়াম | রেড বুল এরিনা |
ধারণক্ষমতা: ৫২,২৪৫ | ধারণক্ষমতা: ৫১,০৩১ | ধারণক্ষমতা: ৪৯,৮২৭ | ধারণক্ষমতা: ৪২,৯৫৯ |
প্রশিক্ষণ ঘাঁটি
[সম্পাদনা]প্রতিটি দল ম্যাচের জন্য প্রশিক্ষণ এবং অবস্থান করার জন্য একটি "প্রশিক্ষণ ঘাঁটি" বেছে নিয়েছে, তবে দলের প্রশিক্ষণ ঘাঁটিগুলো অবশ্যই জার্মানিতে হওয়ার শর্ত ছিল। দলগুলো পুরো প্রতিযোগিতা জুড়ে এই স্থানগুলোতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে এবং অবস্থান করবে, তাদের ঘাঁটি থেকেই তারা বিভিন্ন মাঠে আয়োজিত ম্যাচের জন্য ভ্রমণ করবে।[৪৩]
ড্র
[সম্পাদনা]২০২৩ সালের ২রা ডিসেম্বর তারিখে ১৮:০০ টায় (সিইটি) হামবুর্গের এলবফিহারমনিতে এই আসরের চূড়ান্ত পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।[৬৬] পাত্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে দলগুলোকে ইউরোপীয় বাছাইপর্বে সামগ্রিক অবস্থানের ভিত্তিতে বাছাই করা হয়েছিল। আয়োজক জার্মানিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাত্র ১-এ স্থান দেওয়া হয়েছিল এবং গ্রুপে অবস্থানের ক্ষেত্রে তাদেরকে এ১ অবস্থান প্রদান করা হয়েছে। ড্রয়ের সময় প্লে-অফের তিন বিজয়ী দল নিশ্চিত ছিল না এবং ২০২৪ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্লে-অফে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ড্রয়ের জন্য পাত্র ৪-এ রাখা হয়েছিল।[৩৭][৬৭][৬৮][৬৯] এক ঠাট্টাকারীর ঠাট্টার ফলস্বরূপ ড্র আয়োজনের সময় যৌন শব্দ দ্বারা অনুষ্ঠানটি ব্যাহত হয়েছিল।[৭০][৭১]
- পাত্র ১: জার্মানি (আয়োজক), গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকারীদের মধ্যে ১–৫ স্থানে অবস্থানরত দল
- পাত্র ২: গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকারীদের মধ্যে ৬–১০ স্থানে অবস্থানরত দল, গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অধিকারীদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী দল (সামগ্রিকভাবে ৬–১১)
- পাত্র ৩: গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অধিকারীদের মধ্যে ২–৭ স্থানে অবস্থানরত দল (সামগ্রিকভাবে ১২–১৭)
- পাত্র ৪: গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অধিকারীদের মধ্যে ৮–১০ স্থানে অবস্থানরত দল (সামগ্রিকভাবে ১৮–২০), প্লে-অফ পথ এ–সি-এর বিজয়ী (ড্রয়ের সময় দলগুলো অজানা ছিল)
পাত্র
[সম্পাদনা]দল | অব |
---|---|
জার্মানি (আয়োজক) | — |
পর্তুগাল | ১ |
ফ্রান্স | ২ |
স্পেন | ৩ |
বেলজিয়াম | ৪ |
ইংল্যান্ড | ৫ |
দল | অব |
---|---|
হাঙ্গেরি | ৬ |
তুরস্ক | ৭ |
রোমানিয়া | ৮ |
ডেনমার্ক | ৯ |
আলবেনিয়া | ১০ |
অস্ট্রিয়া | ১১ |
দল | অব |
---|---|
নেদারল্যান্ডস | ১২ |
স্কটল্যান্ড | ১৩ |
ক্রোয়েশিয়া | ১৪ |
স্লোভেনিয়া | ১৫ |
স্লোভাকিয়া | ১৬ |
চেক প্রজাতন্ত্র | ১৭ |
দল | অব |
---|---|
ইতালি | ১৮ |
সার্বিয়া | ১৯ |
সুইজারল্যান্ড | ২০ |
প্লে-অফ পথ এ-এর বিজয়ী | — |
প্লে-অফ পথ বি-এর বিজয়ী | |
প্লে-অফ পথ সি-এর বিজয়ী |
- ↑ ড্রয়ের সময় প্লে-অফের বিজয়ী দলগুলো নিশ্চিত হয়নি।
গ্রুপ
[সম্পাদনা]অব | দল |
---|---|
এ১ | জার্মানি |
এ২ | স্কটল্যান্ড |
এ৩ | হাঙ্গেরি |
এ৪ | সুইজারল্যান্ড |
অব | দল |
---|---|
বি১ | স্পেন |
বি২ | ক্রোয়েশিয়া |
বি৩ | ইতালি |
বি৪ | আলবেনিয়া |
অব | দল |
---|---|
সি১ | স্লোভেনিয়া |
সি২ | ডেনমার্ক |
সি৩ | সার্বিয়া |
সি৪ | ইংল্যান্ড |
অব | দল |
---|---|
ডি১ | পোল্যান্ড[ক] |
ডি২ | নেদারল্যান্ডস |
ডি৩ | অস্ট্রিয়া |
ডি৪ | ফ্রান্স |
অব | দল |
---|---|
ই১ | বেলজিয়াম |
ই২ | স্লোভাকিয়া |
ই৩ | রোমানিয়া |
ই৪ | ইউক্রেন[ক] |
অব | দল |
---|---|
এফ১ | তুরস্ক |
এফ২ | জর্জিয়া[ক] |
এফ৩ | পর্তুগাল |
এফ৪ | চেক প্রজাতন্ত্র |
ম্যাচ পরিচালক
[সম্পাদনা]২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে, এই আসরের ৫১টি ম্যাচের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ১৯টি রেফারির দল নির্বাচন করা হয়েছিল, যার মধ্যে উয়েফা এবং কনমেবল কনফেডারেশনের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তির অংশ হিসেবে নির্বাচিত একটি আর্জেন্টিনীয় দল অন্তর্ভুক্ত রয়েছিল।[৭২][৭৩]
এছাড়াও, উয়েফা ১০ জন ভিডিও ম্যাচ পরিচালক এবং ১২ জন সহকারী ম্যাচ পরিচালকের নাম ঘোষণা করেছে (যারা চতুর্থ রেফারি অথবা সংরক্ষিত সহকারী রেফারি হিসেবে কাজ করবেন)।[৭৩]
|
|
গ্রুপ পর্ব
[সম্পাদনা]২০২২ সালের ১০ই মে তারিখে উয়েফা এই আসরের সময়সূচী ঘোষণা করেছিল, যেখানে শুধুমাত্র উদ্বোধনী ম্যাচ, সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনালের কিক-অফের সময় অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৭৪][৭৫] ড্রয়ের পর ২০২৩ সালের ২রা ডিসেম্বর তারিখে অন্যান্য সকল ম্যাচের কিক-অফের সময় ঘোষণা করা হয়েছিল।[৭৬][৭৭] গ্রুপে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ও সেরা চার তৃতীয় স্থান অধিকারী ১৬ দলের পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
টাইব্রেকার
[সম্পাদনা]প্রত্যেক দলের পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে দলের অবস্থান নির্ণয় করা হয় (জয়ের জন্য ৩ পয়েন্ট, ড্রয়ের জন্য ১ পয়েন্ট, হারের জন্য ০ পয়েন্ট) এবং যদি পয়েন্টের সমতা হয় তবে গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ শেষে নিম্নে বর্ণিত মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে শীর্ষ দুই দল নির্ণয় করা হবে:[৩৭]
- যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচে পয়েন্ট;
- যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল পার্থক্য;
- যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল সংখ্যা;
- যদি মানদণ্ড ১ হতে ৩ প্রয়োগ করার পরও দলগুলো সমতায় থাকে, তবে মানদণ্ড ১ থেকে ৩ শুধুমাত্র দলগুলোর মধ্যে ম্যাচগুলোর ক্ষেত্রে পুনরায় প্রয়োগ করা হবে।[ক]। এই পদ্ধতিটি যদি কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সাহায্য না করে, তবে মানদণ্ড ৫ থেকে ১০ প্রযোজ্য হবে;
- গ্রুপ পর্বের সকল ম্যাচে উক্ত দলসমূহের গোল পার্থক্য;
- গ্রুপ পর্বের সকল ম্যাচে উক্ত দলসমূহের গোল সংখ্যা;
- যদি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দুটি দল একে অপরের মুখোমুখি হয় এবং উভয় দলের একই সংখ্যক পয়েন্ট থাকে, এর পাশাপাশি একই সংখ্যক স্বপক্ষে ও বিপক্ষে গোল থাকে এবং তাদের ম্যাচ শেষে ফলাফল সমতায় থেকে, তবে তাদের অবস্থান পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। (এই মানদণ্ডটি ব্যবহার করা হয় না, যদি দুই দলের বেশি একই সংখ্যক পয়েন্টে থাকে।);
- গ্রুপ পর্বের সকল ম্যাচে শাস্তিমূলক পয়েন্ট (লাল কার্ড = ৩ পয়েন্ট, হলুদ কার্ড = ১ পয়েন্ট, এক ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ডের জন্য বহিষ্কার = ৩ পয়েন্ট, হলুদ কার্ডের পর সরাসরি লাল কার্ড = ৪ পয়েন্ট);
- সামগ্রিক র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান।
টীকা
- ↑ যদি পয়েন্টে তিনটি দল সমতায় থাকে, তবে প্রথম তিনটি মানদণ্ডের প্রয়োগ কেবলমাত্র একটি দলের জন্য সমতা ভঙ্গ করতে পারবে, বাকি দুটি দল তখনও সমতায় থাকে। এই ক্ষেত্রে, সমতায় থাকা দুটি দলের জন্য সমতা ভঙ্গের পদ্ধতি শুরু থেকে পুনরায় শুরু করা হবে।
গ্রুপ এ
[সম্পাদনা]অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | জার্মানি (H) | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৮ | ২ | +৬ | ৭ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | সুইজারল্যান্ড | ৩ | ১ | ২ | ০ | ৫ | ৩ | +২ | ৫ | |
৩ | হাঙ্গেরি | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৫ | −৩ | ৩ | |
৪ | স্কটল্যান্ড | ৩ | ০ | ১ | ২ | ২ | ৭ | −৫ | ১ |
স্কটল্যান্ড | ১–১ | সুইজারল্যান্ড |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
স্কটল্যান্ড | ০–১ | হাঙ্গেরি |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
|
গ্রুপ বি
[সম্পাদনা]অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | স্পেন | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ৫ | ০ | +৫ | ৯ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | ইতালি | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ৩ | ০ | ৪ | |
৩ | ক্রোয়েশিয়া | ৩ | ০ | ২ | ১ | ৩ | ৬ | −৩ | ২ | |
৪ | আলবেনিয়া | ৩ | ০ | ১ | ২ | ৩ | ৫ | −২ | ১ |
ক্রোয়েশিয়া | ১–১ | ইতালি |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
গ্রুপ সি
[সম্পাদনা]অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ইংল্যান্ড | ৩ | ১ | ২ | ০ | ২ | ১ | +১ | ৫ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | ডেনমার্ক | ৩ | ০ | ৩ | ০ | ২ | ২ | ০ | ৩[ক] | |
৩ | স্লোভেনিয়া | ৩ | ০ | ৩ | ০ | ২ | ২ | ০ | ৩[ক] | |
৪ | সার্বিয়া | ৩ | ০ | ২ | ১ | ১ | ২ | −১ | ২ |
টীকা:
- ↑ ক খ শাস্তিমূলক পয়েন্ট: ডেনমার্ক –৬, স্লোভেনিয়া –৭।
গ্রুপ ডি
[সম্পাদনা]অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | অস্ট্রিয়া | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৬ | ৪ | +২ | ৬ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | ফ্রান্স | ৩ | ১ | ২ | ০ | ২ | ১ | +১ | ৫ | |
৩ | নেদারল্যান্ডস | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৪ | ০ | ৪ | |
৪ | পোল্যান্ড | ৩ | ০ | ১ | ২ | ৩ | ৬ | −৩ | ১ |
পোল্যান্ড | ১–৩ | অস্ট্রিয়া |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
গ্রুপ ই
[সম্পাদনা]অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | রোমানিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৩ | +১ | ৪ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | বেলজিয়াম | ৩ | ১ | ১ | ১ | ২ | ১ | +১ | ৪ | |
৩ | স্লোভাকিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ৩ | ০ | ৪ | |
৪ | ইউক্রেন | ৩ | ১ | ১ | ১ | ২ | ৪ | −২ | ৪ |
স্লোভাকিয়া | ১–২ | ইউক্রেন |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
গ্রুপ এফ
[সম্পাদনা]অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | পর্তুগাল | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৫ | ৩ | +২ | ৬[ক] | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | তুরস্ক | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৫ | ৫ | ০ | ৬[ক] | |
৩ | জর্জিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৪ | ০ | ৪ | |
৪ | চেক প্রজাতন্ত্র | ৩ | ০ | ১ | ২ | ৩ | ৫ | −২ | ১ |
টীকা:
তুরস্ক | ৩–১ | জর্জিয়া |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
জর্জিয়া | ১–১ | চেক প্রজাতন্ত্র |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
জর্জিয়া | ২–০ | পর্তুগাল |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
চেক প্রজাতন্ত্র | ১–২ | তুরস্ক |
---|---|---|
সৌচেক ৬৬' | প্রতিবেদন |
|
তৃতীয় স্থান অধিকারী দলের অবস্থান
[সম্পাদনা]অব | গ্রুপ | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ডি | নেদারল্যান্ডস | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৪ | ০ | ৪[ক] | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | এফ | জর্জিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৪ | ০ | ৪[ক] | |
৩ | ই | স্লোভাকিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ৩ | ০ | ৪ | |
৪ | সি | স্লোভেনিয়া | ৩ | ০ | ৩ | ০ | ২ | ২ | ০ | ৩ | |
৫ | এ | হাঙ্গেরি | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৫ | −৩ | ৩ | |
৬ | বি | ক্রোয়েশিয়া | ৩ | ০ | ২ | ১ | ৩ | ৬ | −৩ | ২ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল; ৪) জয়; ৫) নিম্ন শাস্তিমূলক পয়েন্ট; ৬) সামগ্রিক র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান
টীকা:
নকআউট পর্ব
[সম্পাদনা]নকআউট পর্বে ৯০ মিনিটের খেলা শেষে যদি কোন ম্যাচের ফলাফল সমতায় থাকে, তবে ১৫ মিনিট করে দুই অর্ধে ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের খেলা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে প্রতিটি দলের ষষ্ঠ খেলোয়াড় বদল করার অনুমতি রয়েছে। অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল সমতায় থাকলে পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছিল।[৩৭]
উয়েফা ইউরো ১৯৮৪-এর পর থেকে এই আসরের মতো তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ নেই।
তৃতীয় স্থান অধিকারী দলগুলোর ম্যাচের সময়সূচী কোন চারটি তৃতীয় স্থান অধিকারী দল ১৬ দলের পর্বে উত্তীর্ণ হবে তার উপর নির্ভর করা হয়েছিল:[৩৭]
গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ তৃতীয় স্থান অধিকারী |
১বি বনাম |
১সি বনাম |
১ই বনাম |
১এফ বনাম | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
এ | বি | সি | ডি | ৩এ | ৩ডি | ৩বি | ৩সি | |||
এ | বি | সি | ই | ৩এ | ৩ই | ৩বি | ৩সি | |||
এ | বি | সি | এফ | ৩এ | ৩এফ | ৩বি | ৩সি | |||
এ | বি | ডি | ই | ৩ডি | ৩ই | ৩এ | ৩বি | |||
এ | বি | ডি | এফ | ৩ডি | ৩এফ | ৩এ | ৩বি | |||
এ | বি | ই | এফ | ৩ই | ৩এফ | ৩বি | ৩এ | |||
এ | সি | ডি | ই | ৩ই | ৩ডি | ৩সি | ৩এ | |||
এ | সি | ডি | এফ | ৩এফ | ৩ডি | ৩সি | ৩এ | |||
এ | সি | ই | এফ | ৩ই | ৩এফ | ৩সি | ৩এ | |||
এ | ডি | ই | এফ | ৩ই | ৩এফ | ৩ডি | ৩এ | |||
বি | সি | ডি | ই | ৩ই | ৩ডি | ৩বি | ৩সি | |||
বি | সি | ডি | এফ | ৩এফ | ৩ডি | ৩সি | ৩বি | |||
বি | সি | ই | এফ | ৩এফ | ৩ই | ৩সি | ৩বি | |||
বি | ডি | ই | এফ | ৩এফ | ৩ই | ৩ডি | ৩বি | |||
সি | ডি | ই | এফ | ৩এফ | ৩ই | ৩ডি | ৩সি |
নিম্নে তালিকাভুক্ত ম্যাচগুলোর সময় মধ্য ইউরোপীয় গ্রীষ্মকালীন সময় অনুযায়ী উল্লেখ করা হয়েছে (ইউটিসি+২)। যদি স্থানটি একটি ভিন্ন সময় অঞ্চলে অবস্থিত হয় তবে স্থানীয় সময়ও উল্লেখ করা হয়েছিল।
বন্ধনী
[সম্পাদনা]১৬ দলের পর্ব | কোয়ার্টার-ফাইনাল | সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | |||||||||||
৩০ জুন – কোলন | ||||||||||||||
স্পেন | ৪ | |||||||||||||
৫ জুলাই – স্টুটগার্ট | ||||||||||||||
জর্জিয়া | ১ | |||||||||||||
স্পেন (অ.স.প.) | ২ | |||||||||||||
২৯ জুন – ডর্টমুন্ড | ||||||||||||||
জার্মানি | ১ | |||||||||||||
জার্মানি | ২ | |||||||||||||
৯ জুলাই – মিউনিখ | ||||||||||||||
ডেনমার্ক | ০ | |||||||||||||
স্পেন | ২ | |||||||||||||
১ জুলাই – ফ্রাঙ্কফুর্ট | ||||||||||||||
ফ্রান্স | ১ | |||||||||||||
পর্তুগাল (পে.) | ০(৩) | |||||||||||||
৫ জুলাই – হামবুর্গ | ||||||||||||||
স্লোভেনিয়া | ০(০) | |||||||||||||
পর্তুগাল | ০(৩) | |||||||||||||
১ জুলাই – ডুসেলডর্ফ | ||||||||||||||
ফ্রান্স (পে.) | ০(৫) | |||||||||||||
ফ্রান্স | ১ | |||||||||||||
১৪ জুলাই – বার্লিন | ||||||||||||||
বেলজিয়াম | ০ | |||||||||||||
স্পেন | ২ | |||||||||||||
২ জুলাই – মিউনিখ | ||||||||||||||
ইংল্যান্ড | ১ | |||||||||||||
রোমানিয়া | ০ | |||||||||||||
৬ জুলাই – বার্লিন | ||||||||||||||
নেদারল্যান্ডস | ৩ | |||||||||||||
নেদারল্যান্ডস | ২ | |||||||||||||
২ জুলাই – লাইপৎসিশ | ||||||||||||||
তুরস্ক | ১ | |||||||||||||
অস্ট্রিয়া | ১ | |||||||||||||
১০ জুলাই – ডর্টমুন্ড | ||||||||||||||
তুরস্ক | ২ | |||||||||||||
নেদারল্যান্ডস | ১ | |||||||||||||
৩০ জুন – গেলসেনকির্খেন | ||||||||||||||
ইংল্যান্ড | ২ | |||||||||||||
ইংল্যান্ড (অ.স.প.) | ২ | |||||||||||||
৬ জুলাই – ডুসেলডর্ফ | ||||||||||||||
স্লোভাকিয়া | ১ | |||||||||||||
ইংল্যান্ড (পে.) | ১(৫) | |||||||||||||
২৯ জুন – বার্লিন | ||||||||||||||
সুইজারল্যান্ড | ১(৩) | |||||||||||||
সুইজারল্যান্ড | ২ | |||||||||||||
ইতালি | ০ | |||||||||||||
১৬ দলের পর্ব
[সম্পাদনা]কোয়ার্টার-ফাইনাল
[সম্পাদনা]ইংল্যান্ড | ১–১ (অ.স.প.) | সুইজারল্যান্ড |
---|---|---|
সাকা ৮০' | প্রতিবেদন | এমবোলো ৭৫' |
পেনাল্টি | ||
পামার ট্রেন্ট |
৫–৩ | আকানজি আমদুনি |
সেমি-ফাইনাল
[সম্পাদনা]নেদারল্যান্ডস | ১–২ | ইংল্যান্ড |
---|---|---|
সিমন্স ৭' | প্রতিবেদন | কেন ১৮' (পে.)
ওয়াটকিন্স ৯০' |
ফাইনাল
[সম্পাদনা]পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]গোলদাতা
[সম্পাদনা]এই প্রতিযোগিতায় ৫১টি ম্যাচে ১১৭টি গোল হয়েছে, যা ম্যাচ প্রতি গড়ে ২.২৯টি গোল।
৩টি গোল
২টি গোল
১টি গোল
- নেদিম বায়রামি
- ক্লাউস জাসুলা
- কাজিম লাচি
- মার্কো আরনাউতোভিচ
- ক্রিস্টোফ বাউমগার্টনার
- মাইকেল গ্রেগরিৎশ
- মার্সেল সাবিৎসার
- রোমানো শ্মিড
- গের্নট ট্রাউনার
- কেভিন ডে ব্রুইন
- ইউরি তিলেমান্স
- আন্দ্রেই ক্রামারিচ
- লুকা মদরিচ
- লুকাশ প্রোভোদ
- পাত্রিক শিক
- তোমাস সৌচেক
- ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন
- মোর্তেন হিউলম্যান
- কোল পামার
- বুকায়ো সাকা
- অলি ওয়াটকিন্স
- রঁদাল কলো মুয়ানি
- কিলিয়ান এমবাপে
- খভিচা কভারাতসখেলিয়া
- এমরে জান
- ইলকায় গুন্দোয়ান
- কেভিন চোবোত
- বার্নাবাশ ভার্গা
- নিকোলো বারেল্লা
- আলেসসান্দ্রো বাস্তোনি
- মাত্তিয়া জাক্কায়নি