কান্সাই অঞ্চল
কান্সাই অঞ্চল | |
---|---|
অঞ্চল | |
আয়তন | |
• মোট | ২৭,৩৩৫.১১ বর্গকিমি (১০,৫৫৪.১৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (১লা অক্টোবর ২০১০)[১] | |
• মোট | ২,২৭,৫৭,৮৯৭ |
• জনঘনত্ব | ৮৩০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | জেএসটি (ইউটিসি+9) |
কান্সাই অঞ্চল (
ভূগোল[সম্পাদনা]
ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে কান্সাই অঞ্চলকে জাপানের হৃদয় বলা যেতে পারে। ২০১০ খ্রিঃ এর জনগণনা অনুযায়ী এখানকার জনসংখ্যা ছিল ২,২৭,৫৭,৮৯৭ জন। অঞ্চলটির কেন্দ্র হল ওসাকা সমভূমি, যেখানে অবস্থান করছে দুই মহানগর ওসাকা এবং কিয়োতো। এখান থেকে পূর্বদিকে কান্সাইয়ের বিস্তৃতি বিওয়া হ্রদ অবধি, যা জাপানের বৃহত্তম স্বাদু জলের হ্রদ। এই হ্রদ ছাড়িয়ে ইবুকি পর্বত ও ইসে উপসাগরের উপকূল হল এর সর্ব পূর্ব সীমানা। পশ্চিমে কোওবে ও হিমেজি নগর পর্যন্ত এই অঞ্চলের বিস্তার, উত্তরে জাপান সাগর এবং দক্ষিণে কিই উপদ্বীপ ও প্রশান্ত মহাসাগরের মাধ্যমে এর সীমা সূচিত হয়েছে। জাপানের চারটি জাতীয় উদ্যান কান্সাই অঞ্চলের অন্তর্গত। জাতীয় সম্পদের সংখ্যার নিরিখেও জাপানের প্রথম সাতটি প্রশাসনিক অঞ্চলের ছয়টিই এখানে অবস্থিত। অন্যান্য ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে কিয়োতো প্রশাসনিক অঞ্চলের আমানোহাশিদাতে এবং হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চলের আওয়াজি দ্বীপ।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
কান্সাই (
কান্সাই কথাটির আক্ষরিক অর্থ "টোলগেটের পশ্চিমে"। প্রাথমিকভাবে শব্দটি ওসাকা টোলগেটের (
কান্সাই অঞ্চলে জাপানের সভ্যতার প্রথম পূর্ণ বিকাশ ঘটেছিল। রেশম পথের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ছিল নারা, জাপানের প্রথম স্থায়ী জাতীয় রাজধানী শহর। এই যুগে (৭১০-৭৮৪ খ্রিঃ) জাপানে বৌদ্ধধর্মের প্রসার ঘটে এবং ৭৪৫ খ্রিঃ তোওদাই-জি মন্দির নির্মিত হয়। স্থানীয় শিন্তো ধর্মের পবিত্রতম তীর্থস্থান, মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চলের ইসে তীর্থও (৬৯০ খ্রিঃ নির্মিত) এই অঞ্চলেই অবস্থিত।[৬]
হেইয়ান যুগে জাপানের রাজধানী হেইআন-ক্যো নগরে (
জাপানের ইতিহাসে কান্সাই অঞ্চলের বিশিষ্ট অবস্থান, সেইসঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধবিগ্রহ থেকে ধ্বংসের হাত থেকে ঘটনাচক্রে রক্ষা পাওয়ার ফলে এই অঞ্চলে জাপানের অন্য যে কোনও অঞ্চলের তুলনায় বেশি সংখ্যক ইউনেস্কো নির্দিষ্ট বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান কেন্দ্রীভূত রয়েছে।[৭] এই তালিকায় কান্সাইয়ের অন্তর্গত মোট পাঁচটি স্থান হল হোরিউ-জি অঞ্চলের বৌদ্ধ মন্দিরসমূহ, হিমেজি দুর্গ, প্রাচীন কিয়োতোর ঐতিহাসিক সৌধসমূহ (কিয়োতো, উজি ও ওৎসু নগর), প্রাচীন নারার ঐতিহাসিক সৌধসমূহ এবং কিই পার্বত্য অঞ্চলের তীর্থস্থানসমূহ।[৮]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Ministry of Internal Affairs and Communications Statistics Bureau (২৬ অক্টোবর ২০১১)। "
平成 22年 国勢調査 の概要 " (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১২। - ↑ Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005)। গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 477, পৃ. 477,-এ কান্সাই।
- ↑ Nussbaum, "Kinai" in গুগল বইয়ে p. 521, পৃ. 521,.
- ↑ ক খ Entry for 「
関西 」. Kōjien, fifth edition, 1998, [[[আন্তর্জাতিক মান পুস্তক সংখ্যা|আইএসবিএন]] ৪-০০-০৮০১১১-২] - ↑ Entry for 「
上方 」. Kōjien, fifth edition, 1998, [[[আন্তর্জাতিক মান পুস্তক সংখ্যা|আইএসবিএন]] ৪-০০-০৮০১১১-২] - ↑ জাপান রেফারেন্স ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে - "Ise Jingu Guide", retrieved January 17, 2007
- ↑ Kansai ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে, retrieved 19 June 2012 - GoJapanGo
- ↑ ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান: জাপান, retrieved January 17, 2007 - কিয়োমিযু-দেরা, তোদাই-জি এবং কোয়্যা পর্বত হল নির্দিষ্ট স্থানগুলির কয়েকটি।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- কান্সাই আসুন ভ্রমণসঙ্গী
- কান্সাই কানেক্ট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ মার্চ ২০১২ তারিখে
- কান্সাই সংবাদ
- স্বাগতম! কান্সাই
- কান্সাই উইন্ডো
- কান্সাই অর্থনৈতিক ফেডারেশন
- মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- নারা প্রশাসনিক অঞ্চল অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
- ওয়াকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- কিয়োতো প্রশাসনিক অঞ্চল অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- ওসাকা প্রশাসনিক অঞ্চল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চল অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- শিগা প্রশাসনিক অঞ্চল অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (ইংরেজি)