(Translated by https://www.hiragana.jp/)
ত্রি-আলফা প্রক্রিয়া - উইকিপিডিয়া বিষয়বস্তুতে চলুন

ত্রি-আলফা প্রক্রিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ত্রি-আলফা পদ্ধতির সাধারণ চিত্র

'ত্রি-আলফা পদ্ধতি এমন একটি পদ্ধতির নাম যার মাধ্যমে তিনটি হিলিয়াম কেন্দ্রীন তথা আলফা কণিকা কার্বনে পরিণত হয়। এতে ১০০,০০০,০০০ কেলভিন তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। লাল দানব তারাগুলো এই পদ্ধতিতেই শক্তি নিঃসরণ করে।

তারার অভ্যন্তরে যেখানে প্রচুর হিলিয়াম রয়েছে সেখানে এই বিক্রিয়া ঘটে। সাধারণত প্রাচীন তারাগুলোর অভ্যন্তরভাগে প্রোটন-প্রোটন চক্র এবং কার্বন নাইট্রোজেন অক্সিজেন চক্রের মাধ্যমে হিলিয়াম উৎপাদিত হয়ে এর কেন্দ্রে জমা হয়। এজন্য এসব তারায় ত্রি-আলফা পদ্ধতি বেশি কার্যকর হয়। তারার কেন্দ্রে হাউড্রোজেন দহন শেষ হয়ে যাবার পর এই অংশটি নিঃশেষিত থাকে যতক্ষণ না তাপমাত্রা হিলিয়াম দহনের মত মাত্রায় পৌঁছায়।

He + He ↔ Be
Be + He ↔ ১২C + γがんま + ৭.৩৬৭ MeV

এই পদ্ধতিতে মোট ৭.২৭৫ মেগা ইলেক্ট্রন ভোল্ট শক্তি বিমুক্ত হয়।

আবিষ্কার[সম্পাদনা]

ত্রি-আলফা পদ্ধতি ঊলত কার্বন-১২ আইসোটোপের উপর নির্ভর করে যার রেজোন্যান্স হিলিয়াম-৪ এবং বেরিলিয়াম-৮ এর শক্তির প্রায় সমান। ১৯৫২ সালের পূর্বে এত উচ্চ কোন শক্তিস্তরের কথা মানুষের জানা ছিলনা। জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী ফ্রেড হয়েল প্রথম বলেন যে কার্বন-১২ প্রকৃতিতে এত বেশি পরিমাণে রয়েছে যে এই প্রাচুর্যই তার রেজোন্যান্সের প্রমাণ দেয়। তিনি পরমাণু বিজ্ঞানী উইলিয়াম আলফ্রেড ফোলারকে একটি প্রস্তাব দেন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]