বারোতাং দ্বীপ
ভূগোল | |
---|---|
অবস্থান | বঙ্গোপসাগর |
স্থানাঙ্ক | ১২°১১′ উত্তর ৯২°৪৮′ পূর্ব / ১২.১৮° উত্তর ৯২.৮০° পূর্ব |
দ্বীপপুঞ্জ | আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ |
সংলগ্ন জলাশয় | ভারত মহাসাগর |
আয়তন | ২৪২.৬ বর্গকিলোমিটার (৯৩.৭ বর্গমাইল)[১] |
দৈর্ঘ্য | ২৭.৮ কিমি (১৭.২৭ মাইল) |
প্রস্থ | ১৪ কিমি (৮.৭ মাইল) |
তটরেখা | ১১৭ কিমি (৭২.৭ মাইল) |
প্রশাসন | |
জেলা | উত্তর ও মধ্য আন্দামান |
দ্বীপপুঞ্জ | আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ |
গ্রেট আন্দামান | |
তালুক | রঙ্গত |
বৃহত্তর বসতি | নীলাম্বর (জনসংখ্যা ১৬০০) |
জনপরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ৫৬৯১ (২০১১)২০১১ সালের আদমশুমারি, বারোতাং দ্বীপে একটিমাত্র গ্রাম |
জনঘনত্ব | ২৩.৪৫ /বর্গ কিমি (৬০.৭৪ /বর্গ মাইল) |
জাতিগত গোষ্ঠীসমূহ | হিন্দু, মুণ্ডা, খাদিয়া, ছোটনাগপুরী |
অতিরিক্ত তথ্য | |
সময় অঞ্চল | |
ডাক সূচক সংখ্যা | ৭৪৪২০২[২] |
টেলিফোন কোড | ০৩১৯২৭[৩] |
আইএসও কোড | ইন-এএন-০০[৪] |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | www |
Literacy | ৭৫.৪% |
গ্রীষ্মের গড় তাপমাত্রা | ৩০.২ °সে (৮৬.৪ °ফা) |
শীতের গড় তাপমাত্রা | ২৩.০ °সে (৭৩.৪ °ফা) |
যৌন অনুপাত | ১০৫০♂/১০০০♀ |
আদমশুমারি কোড | ৩৫.৬৩৯.০০০২ |
সরকারি ভাষাসমূহ | হিন্দি, ইংরেজি |
বারোতাং দ্বীপ হল আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ। এটি উত্তর ও মধ্য আন্দামান প্রশাসনিক জেলার অন্তর্গত, ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অংশ।[৫] এই দ্বীপটি পোর্ট ব্লেয়ারের ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) উত্তরে অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বারোতাং দ্বীপের অপর একটি নাম হল রাঁচিওয়ালা দ্বীপ। উনিশ শতকের শেষের দিকে, রাঁচি শহরে রাজনৈতিক অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল। সেখানকার অনেক স্থানীয় লোক খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে মিশনারিদের কাছে আশ্রয় চেয়েছিল। ব্রিটিশরা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বনাঞ্চলের ভবিষ্যত সম্ভাবনা উপলব্ধি করে, ধর্মান্তরিতদের ফসল চাষের জন্য বারোতাং দ্বীপে পাঠিয়ে দেয়। রাঁচি থেকে আসা শ্রমিকরা সেখানে বসতি স্থাপন করে এবং নিজেদের জীবন নতুন করে শুরু করে।[৬] ১৯৮৫ সালে আন্দামান প্রণালীর পূর্ব প্রবেশদ্বারে একটি বাতিঘর চালু করা হয়েছিল।[৭]
ভূগোল
[সম্পাদনা]দ্বীপটি বৃহৎ আন্দামান শৃঙ্খলের অন্তর্গত, এবং ২৪২.৬ বর্গকিলোমিটার (৯৩.৭ মা২) অঞ্চলসহ এটি এই শৃঙ্খলের অন্যতম প্রধান দ্বীপ, আন্দামান সাগর, সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি ঘন সন্নিবদ্ধ দ্বীপপুঞ্জ। এর উত্তরে আছে মধ্য আন্দামান, এবং দক্ষিণে দক্ষিণ আন্দামান। এখানকার বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে আছে - সৈকত, ম্যানগ্রোভ খাঁড়ি, চুনাপাথর গুহা এবং কাদা আগ্নেয়গিরিসমূহ ইত্যাদি।[৮] রিচির দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপগুলি ১৪ কিলোমিটার (৮.৭ মা) পূর্বে অবস্থিত। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার দ্বীপটি বারোতাংয়ের দক্ষিণ দিক থেকে আনুমানিক ৪৫ কিলোমিটার (২৮ মা) দূরে অবস্থিত। বারোতাংয়ে ভারতের একমাত্র কাদা আগ্নেয়গিরিগুলি আছে। এই মাটির আগ্নেয়গিরিগুলি থেকে বিক্ষিপ্তভাবে সবেগে কাদা উদগীরণ হয়। সাম্প্রতিক ২০০৫ সালে বিস্ফোরণ হয়েছিল, মনে করা হয় ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে ভূমিকম্পের সাথে এর যোগসূত্র আছে। এর আগের বড় বিস্ফোরণের নথি আছে ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সালে। স্থানীয়রা এই মাটির আগ্নেয়গিরিকে জলকি বলে ডাকে। এই এলাকায় অন্যান্য আরো আগ্নেয়গিরি আছে, যার মধ্যে পড়ে ব্যারেন দ্বীপ আগ্নেয়গিরি যা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, এবং নারকনডাম আগ্নেয়গিরি যা সম্ভাব্যভাবে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি।
প্রশাসন
[সম্পাদনা]প্রশাসনিকভাবে, বারোতাং দ্বীপটি রঙ্গত তালুকের একটি অংশ।[৯]
পরিবহন
[সম্পাদনা]আন্দামান ট্রাঙ্ক রোড থেকে রঙ্গত এবং মায়াবন্দর পর্যন্ত রাস্তা দ্বীপটির মধ্য দিয়ে গেছে।[১০] এখানে দুটি ফেরি পারাপারের ব্যবস্থা আছে: "ব্যাম্বু ট্রিকারি" জাহাজ-ঘাটা এবং "নীলাম্বর" জাহাজ-ঘাটা। বীর সাভারকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি পোর্ট ব্লেয়ার শহরের নিকটস্থ বিমানবন্দর, যা দ্বীপ থেকে প্রায় ১০৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[১১]
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]বারোতাংয়ে বারোটি গ্রাম আছে, সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হল - আদাজিগ, সুন্দরঘর, নয়াঘর এবং নীলাম্বর (সদর দপ্তর)। ২০১১ সালের ভারতের জনগণনা অনুসারে, এই দ্বীপের জনসংখ্যা ৫৬৯১ জন। এখানে কার্যকর সাক্ষরতার হার (অর্থাৎ ছয় বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের বাদ দিয়ে) ১০০%।[১২]
মোট | পুরুষ | নারী | |
---|---|---|---|
জনসংখ্যা | ৫৬৯১ | ২৯২০ | ২৭৭১ |
স্বাক্ষর | ৪২৯১ | ২৩২১ | ১৯৭০ |
এই দ্বীপে মূলত স্থানীয় জারোয়া উপজাতিদের বাস।[১৩][১৪]
পর্যটন
[সম্পাদনা]বারোতাংয়ে প্রচুর ব্যক্তিগত পর্যায়ে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ফরেস্ট এবং পিডাব্লিউডি গেস্ট হাউসগুলিও উপলব্ধ থাকে। পর্যটনকারীদের নিশ্চিত সংরক্ষণের জন্য অগ্রিম বুকিং করা উচিত। প্রধান আকর্ষণগুলি হল - চুনাপাথরের গুহা, কাদা আগ্নেয়গিরি, প্যারট আইল্যান্ড এবং বালুদেরা বিচ।[১৫][১৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Islandwise Area and Population - 2011 Census" (পিডিএফ)। Government of Andaman। ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "A&N Islands - Pincodes"। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬। Archived from the original on ২৩ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "STD Codes of Andaman and Nicobar"। allcodesindia.in। ২০১৯-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-২৩।
- ↑ Registration Plate Numbers added to ISO Code
- ↑ "Village Code Directory: Andaman & Nicobar Islands" (পিডিএফ)। Census of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-১৬।
- ↑ Paty, Chittarangjan Kumar (২০০৭)। Forest, Government, and Tribe। New Delhi: Concept Publishing Company। পৃষ্ঠা 107। আইএসবিএন 81-8069-406-2।
- ↑ "Government of India, Directorate General of Lighthouses and Lightships."। www.dgll.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-১৮।
- ↑ "Official Website of Andaman & Nicobar Tourism || A & N Administration || India"। www.andamans.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০৩।
- ↑ "DEMOGRAPHIC – A&N ISLANDS" (পিডিএফ)। andssw1.and.nic.in। ২০১৭-০৮-২৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-২৩।
- ↑ "Official Website of Andaman & Nicobar Tourism || A & N Administration || India"। www.andamans.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১০।
- ↑ "Nearest Airport"।
- ↑ ক খ "District Census Handbook - Andaman & Nicobar Islands" (পিডিএফ)। 2011 Census of India। Directorate of Census Operations, Andaman & Nicobar Islands। ১ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-২১।
- ↑ [১]
- ↑ "map"। ১৭ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ [২]
- ↑ [৩]
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Geological Survey of India
- উইকিভ্রমণ থেকে বারোতাং দ্বীপ ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।