বুজুম্বুরা
বুজুম্বুরা | |
---|---|
শীর্ষ: বুজুম্বুরা স্কাইলাইন; মধ্য: স্বাধীনতার বীরদের স্মৃতিস্তম্ভ, বুজুম্বুরা শহরের কেন্দ্রস্থল; রেজিনা মুন্ডি ক্যাথেড্রাল, তাংগানিকা হ্রদের সৈকত | |
স্থানাঙ্ক: ৩°২৩′ দক্ষিণ ২৯°২২′ পূর্ব / ৩.৩৮৩° দক্ষিণ ২৯.৩৬৭° পূর্ব | |
দেশ | বুরুন্ডি |
প্রদেশ | বুজম্বুরা মেরি প্রদেশ |
প্রতিষ্ঠা | ১৮৭১ |
সরকার | |
• নগরপ্রধান | সিপি জিমি হাতুঙ্গিমানা |
আয়তন | |
• পৌর এলাকা | ১২৭ বর্গকিমি (৪৯ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৭৭৪ মিটার (২,৫৩৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০২১)[১] | |
• শহর | ১০,০০,০০০ |
• পৌর এলাকা[২] | ১০,৭৫,০০০ |
• পৌর এলাকার জনঘনত্ব | ৮,৫০০/বর্গকিমি (২২,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | মআস (CAT) (ইউটিসি+2) |
জলবায়ু | Aw |
ওয়েবসাইট | www |
বুজুম্বুরা পূর্ব ও মধ্য আফ্রিকার রাষ্ট্র বুরুন্ডির প্রাক্তন রাজধানী ও দেশটির বৃহত্তম শহর। এটি বুরুন্ডির পশ্চিমভাগে তাংগানিকা হ্রদের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে বুজুম্বুরা প্রদেশে অবস্থিত ও দেশটির প্রধান বন্দর। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী এখানে ১০ লক্ষেরও বেশি অধিবাসীর বাস। ২০১৯ সালে বুরন্ডির রাজধানীকে বুজুম্বুরা থেকে দেশের ২য় বৃহত্তম নগরী গিতেগা-তে স্থানান্তরিত করা হয়।
বুজুম্বুরার জলবায়ু ক্রান্তীয় সাভানা প্রকৃতির। মে থেকে সেপ্টেম্বর শুকনো মৌসুম এবং অক্টোবর থেকে এপ্রিল আর্দ্র মৌসুম। সারা বছর ধরে তাপমাত্রা গড়ে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে। শহরটি সমুদ্র সমতল থেকে ৮০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
বুরুন্ডির বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগ বাণিজ্য বুজুম্বুরা হয়ে তানজানিয়ার কিগোমা বন্দর ও কদাচিৎ কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কিনশাসার মধ্যে ঘটে থাকে। শহরটির শিল্পগুলিতে বস্ত্র, চামড়াজাত দ্রব্য, কাগজ, রাসায়নিক দ্রব্য, কৃষিদ্রব্য, বিয়ার, সিমেন্ট, ঔষধ প্রক্রিয়াজাত ও উৎপাদন করা হয়। বুজুম্বুরার আশেপাশের অঞ্চলে কলা, শিমুল আলু নামের এক জাতীয় মিষ্টি আলু, শিম, ভুট্টা, গম ও তুলার চাষ হয়। তাংগানিকা হ্রদে মৎস্যশিকার একটি সক্রিয় পেশা ও শহরে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা আছে।
বুজুম্বুরাতে ১৯৬০ সালে স্থাপিত বুরুন্ডি বিশ্ববিদ্যালয় ও বুরুন্ডি সভ্যতা কেন্দ্র শহরের দুইটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। বুজুম্বুরার অধিবাসীরা কিরুন্ডি ভাষায় কথা বলে। দ্বিতীয় ভাষা ফরাসি। খুবই কম লোক ইংরেজিতে কথা বলে।
শহরটি আগে উসুম্বুরা নামে পরিচিত ছিল। ১৮৭১ সালে ইউরোপীয়দের মধ্যে সম্ভবত প্রথম ডেভিড লিভিংস্টোন ও স্যার হেনরি মর্টন স্ট্যানলি এটি পরিদর্শন করেন। ১৮৯০-এর দশকে জার্মান সেনারা অঞ্চলটি দখল করে ও শীঘ্রই এটিকে জার্মান পূর্ব আফ্রিকার অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়। এসময় উসুম্বুরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে এটি রুয়ান্ডা-উরুন্ডি ম্যান্ডেটের মাধ্যমে বেলজিয়ামের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ও সেই অঞ্চলের কেন্দ্রের মর্যাদা পায়। ১৯৪৬ সালে এটিকে অছি অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৬২ সালে বুরুন্ডি স্বাধীনতা লাভ করলে শহরটির নাম বদলে বুজুম্বুরা রাখা হয় ও দেশটির রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হয়। বুজুম্বুরাতে ১৯৬২, ১৯৭২ ও ১৯৮৮ সালের স্থানীয় হুটু ও টুটসির মধ্যে জাতিগত সংঘাত ঘটে এবং ১৯৯১-এ এসে শহরটি একটি সহিংস গৃহযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। ১৯৯৩ সালে বুরুন্ডির রাষ্ট্রপতি মেলচিওর এনদাদাইয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে এই সংঘাত আবারও চাড়া দেয়, হাজার হাজার হুটু জাতির লোক শহর ছেড়ে পালিয়ে যায় ও টুটসি-আধিপত্যবিশিষ্ট সেনাবাহিনী শহরটি নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে। ২১শ শতকের শুরুতে এসে বুরুন্ডির হুটু ও টুটসি গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যবর্তী আরেকটি গৃহযুদ্ধের সাক্ষী এই শহর। ,
নগরে ঠিক উত্তর-পশ্চিমে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। সড়কপথে কঙ্গোর বুকাভু ও গোমা-র সাথে এবং রুয়ান্ডার কিগালি-র সাথে সংযোগ আছে। শহরটি তাংগানিকা হ্রদের উপর দিয়ে নৌপথে ফেরিতে তানজানিয়ার দুই বন্দর কিগোমা ও উজিজি-র সাথে সংযুক্ত, যেগুলি থেকে বুজুম্বুরার দ্রব্য রেলপথে ভারত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত দারুস সালাম বন্দরে প্রেরণ করা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Chislennost.com Population of Bujumbura city
- ↑ PopulationStat Population of Bujumbura, city and urban area