মার্থা ব্রে
মার্থা ব্রে | |
---|---|
জন্ম | ১৮৮৪ |
মৃত্যু | ১৯৪৯ |
জাতীয়তা | ফরাসি |
মার্থা ব্রে বা মার্থা ব্রে-স্মিটস (১৮৮৪ - ১৯৪৯) ছিলেন একজন ফরাসি ভোটাধিকার কর্মী, যিনি নারীদের ভোটাধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ফরাসি মতামতকে প্রভাবিত করার জন্য মহিলা অ্যাকশন লীগ (ফরাসি: Ligue d'action féminine) গঠন করেছিলেন।
জীবন
[সম্পাদনা]ব্রে ১৮৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মহিলা নেত্রী হুবার্টিন অক্লার্টের একজন ভক্ত ছিলেন। [১]
১৯২৫ সালের ৬ই ডিসেম্বর, তিনি 'মহিলাদের ভোটাধিকারের জন্য মহিলা অ্যাকশন লীগ' (ফরাসি: La Ligue d’action féminine pour le suffrage des femmes) তৈরি করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ফরাসি নারীদের যে ভোট দেওয়ার অধিকার থাকা উচিত, তার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ফরাসি মতামতকে প্রভাবিত করা। [২] তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে নারীদের ভোট দেওয়া যুদ্ধ এড়ানোর একটি উপায় হতে পারে। [৩] ব্রিটেন যখন ভোটাধিকার স্বীকার করে নিয়েছিল, ফ্রান্স কিন্তু যুদ্ধের পরে ফরাসী মহিলাদের ভোটাধিকার দিয়ে পুরস্কৃত করেনি এবং মহিলাদের ভোটাধিকারের যুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। কারণটি কি ছিল একটি "সঠিক" অথবা সংযম, যৌনরোগ বা নিরস্ত্রীকরণের মতো লড়াইয়ের সমস্যাগুলির সুবিধার কারণে যেখানে একটি ঐতিহ্যগত মহিলা লবি গ্রুপ ছিল। [৪]
ব্রের সংগঠন বিভিন্ন শ্রেণিতে ব্যাপক সমর্থন পেতে প্রচারণায় হাস্যরসের ব্যবহার করেছিল। তাঁর সংস্থায় প্রায় ৫০০ সদস্য ছিল বলে অনুমান করা হয়। তিনি যে সংগঠনটি তৈরি করেছিলেন তা ছিল অ-জঙ্গি কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে ব্রিটিশ মহিলা সামাজিক ও রাজনৈতিক ইউনিয়ন যে জঙ্গি কৌশলগুলি ব্যবহার করত তার জন্য ব্রে ঈর্ষান্বিত ছিলেন। আমেরিকানরা ব্রের সংস্থাকে একটি রোল মডেল হিসাবে দেখেছিল। [৫]
১৯২৬ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর প্যারিসের দৈনিক পত্রিকা লে জার্নালের প্রথম পাতা তৈরি হয়েছিল বিশেষ কিছু বিষয় দিয়ে। সেখানে ব্রের সংস্থার প্রচারণার খবর ছিল, সমর্থকদের নিয়ে একটি গাড়ির ছবি ছিল এবং ব্রের একটি প্রতিকৃতি ছাপা হয়েছিল।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Rochefort, Florence। "La citoyenneté interdite ou les enjeux du suffragisme"।
- ↑ Reynolds, Sian (২০০২-১১-০১)। France Between the Wars: Gender and Politics (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 978-1-134-79831-5।
- ↑ "Paris-soir"। Gallica (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯৩০-১২-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।
- ↑ "L'après-guerre ou l'espoir déçu · Visages du suffragisme français · MUSEA"। www.musea.fr। ২০২০-০১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।
- ↑ Barton, Nimisha; Hopkins, Richard S. (২০১৯-০১-০১)। Practiced Citizenship: Women, Gender, and the State in Modern France (ইংরেজি ভাষায়)। U of Nebraska Press। আইএসবিএন 978-1-4962-0666-4।
- ↑ "Le Journal"। Gallica (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯২৬-০৯-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।