সোলতানিহ
সোলতানিহ سلطانيه | |
---|---|
শহর | |
স্থানাঙ্ক: ৩৬°২৬′০৫″ উত্তর ৪৮°৪৭′৫১″ পূর্ব / ৩৬.৪৩৪৭২° উত্তর ৪৮.৭৯৭৫০° পূর্ব | |
দেশ | ইরান |
প্রদেশ | জান্জন |
কাউন্টি | সোলতানিহ |
বখশ | সোলতানিহ |
উচ্চতা | ১,৭৮৪ মিটার (৫,৮৫৩ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১৬ আদমসুমারি) | |
• মোট | ৭,৬৩৮[১] |
সময় অঞ্চল | আইআরএসটি (ইউটিসি+৩:৩০) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | আইআরডিটি (ইউটিসি+৪:৩০) |
ওয়েবসাইট | soltaniyeh |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | সোলতানিহ |
ধরন | সাংস্কৃতিক |
মানদণ্ড | (২)(৩)(৪) |
মনোনীত | ২০০৫ (২৯তম সভা) |
সূত্র নং | 1188 |
অঞ্চল | এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর |
সোলতানিহ (ফার্সি: سلطانيه, এছাড়াও লাতিন: Soltania/ Sultania নামে পরিচিত) হল উত্তর-পশ্চিম ইরানের জান্জন প্রদেশের সোলতানিহ কাউন্টির সোলতানিহ জেলার রাজধানী শহর। স্থানটি পারস্য স্থাপত্য কৃতিত্বের একটি অসামান্য উদাহরণ এবং ইসলামি স্থাপত্যের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভ। এটি জান্জন শহর থেকে ৩৭ কিলোমিটার (২৩ মা) দূরে অবস্থিত। সোলতানিহ গম্বুজ এবং ওলজাইতোর সমাধি এই শহরে অবস্থিত। শহরটিতে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে, যা প্রতি বছর বহু পর্যটককে আকর্ষণ করে।
২০০৬ সালের আদমশুমারি অনুসারে শহরটিতে ১,৬৪৯টি পরিবারে প্রায় ৫,৬৮৪ জন বাস করে।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার (১৫০ মা) দূরে সোলতানিহ অবস্থিত। প্রাপ্ত ঐতিহাসিক সূত্র অনুসারে, ১৪-শতকে শহরটি ইরানের মঙ্গোল ইলখানিত শাসকদের রাজধানী হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। যদিও এর আগে বর্তমান শহরটিকে এরিবাদ বলা হত এবং প্রত্নতাত্ত্বিক খননের প্রমাণ হিসাবে শহরটির প্রায় ৭ হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে। সোলতানিহ নামটি ইসলামিক শাসক উপাধি সুলতানকে নির্দেশ করে। মঙ্গোলরা ইরানে বসতি স্থাপন এবং রাজধানী হিসাবে তাবরিজকে বেছে নেওয়ার পরে, তারা বর্তমান সোলতানিহর বিস্তীর্ণ এবং সবুজ সমভূমিকে শিকার এবং ক্যাম্পিংয়ের জন্য ব্যবহার করেছিল। চতুর্থ মঙ্গোল ইলখানাত আরঘুন সিংহাসনে আরোহণ (১২৮৪ – ১২৯১) করার পরে তিনি এই জায়গায় একটি শহর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। ১২৯১ সালে আরঘুনের মৃত্যুর পর তার মৃতদেহকে এই শহরে অর্ধ-সম্পূর্ণ সমাহিত করা হয় এবং তার পুত্র মাহমুদ গাজান সমাধিটির সমাপ্তি বা উন্নয়নের জন্য আর কোনো প্রচেষ্টা করেননি।
কাস্টিলিয় পর্যটক ও লেখক রুই গনজালেজ ডি ক্লাভিজো একবার সোলতানিহ পরিদর্শন করেছিলেন, যিনি এরপর প্রতিবেদন করেছিলেন যে শহরটি রেশম রপ্তানির একটি কেন্দ্র ছিল।[৩] ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডালরিম্পল উল্লেখ করেছেন যে, ওলজাইতু সোলতানিহকে "বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বিস্তীর্ণ শহর" বানাতে চেয়েছিলেন তবে এটি "তার সাথে মারা গেছে" এবং এখন "একটি নির্জন, ধ্বংসাবশেষের বিস্তৃতি"।[৪]
২০০৫ সালে, ইউনেস্কো সোলতানিহ এবং সোলতানিহ গম্বুজটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে তালিকাভুক্ত করে। জান্জন থেকে সোলতানিয়েহ পর্যন্ত রাস্তাটি কাটলে খোর গুহা পর্যন্ত বিস্তৃত।
ধর্মীয় ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯১৮ সালের ১ এপ্রিল, সোলতানিহ মেট্রোপলিটন আর্চডিওসিস (লাতিন ও কিউরিয়াট ইতালিয়) বা সোলতানিহ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। এটি ১৩২৯ সালে সমরকন্দের লাতিন ডায়োসিস চাগাতাই খানাতের জন্য তার ভোটাধিকার হয়ে ওঠে, অন্তত যতক্ষণ না তিমুরিদ সাম্রাজ্যের অধিষ্ঠাতা তৈমুর লং সমরকান্দকে অবিষ্কার করেছিল।
সোলতানিয়েহের গম্বুজ
[সম্পাদনা]১৩০২-১২ সালের দিকে মঙ্গোলরা ওলজাইতুর সমাধিটি সোলতানিহ শহরে প্রতিষ্ঠা করেছিল। অষ্টভুজাকার ভবনটি ফিরোজা-নীল ফ্যায়েন্সে আচ্ছাদিত একটি ৫০ মিটার (১৬০ ফু) লম্বা গম্বুজ দ্বারা মুকুটযুক্ত এবং আটটি সরু মিনার দ্বারা বেষ্টিত। এটি ইরানের ডাবল-শেল্ড গম্বুজের প্রাচীনতম বিদ্যমান উদাহরণ। সমাধিটি তার সময়ের স্থাপত্যের মাস্টারপিস হিসাবে স্বীকৃত এবং বিশেষ করে এর উদ্ভাবনী ডবল-শেল্ড গম্বুজ এবং অভ্যন্তরীণ সজ্জার কারণে এটি পারস্য স্থাপত্যের বিকাশে একটি অসামান্য কৃতিত্ব হিশেবে বিবেচিত।[৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Statistical Center of Iran > Home"। ১৭ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "Census of the Islamic Republic of Iran, 1385 (2006)"। Islamic Republic of Iran। ২০১১-১১-১১ তারিখে মূল (Excel) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক্লাভিজো, রুই গনজালেজ ডি (১৮৫৯)। Narrative of the embassy of Ruy Gonzalez de Clavijo to the court of Timour at Samarcand, A.D. 1403-6। পৃষ্ঠা 93। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ উইলিয়াম ডালরিম্পল (১৯৮৯), ইন জানাডু (ইংরেজি ভাষায়), পেঙ্গুইন বুক্স, পৃষ্ঠা ১২৮-২৯, Wikidata Q17080373
- ↑ "Soltaniyeh"। whc.unesco.org। ইউনেস্কো। ২০০৫। ৫ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২২।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Hatef Naiemie, Atri (২০২০)। "The Ilkhanid City of Sultaniyya: Some Remarks on the Citadel and the Outer City"। Iran: Journal of the British Institute of Persian Studies: 1–30। ডিওআই:10.1080/05786967.2020.1744469।
- Minorsky, V.; Bosworth, C.E & Blair, Sheila S. (১৯৯৭)। "Sulṭāniyya"। Bosworth, C. E.; van Donzel, E.; Heinrichs, W. P. & Lecomte, G.। The Encyclopaedia of Islam, New Edition, Volume IX: San–Sze। Leiden: E. J. Brill। পৃষ্ঠা 859–861। আইএসবিএন 90-04-10422-4।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]পূর্বসূরী তাবরিজ |
ইলখানাতের (পারস্য) রাজধানী ১৩০৬-১৩৩৫ |
উত্তরসূরী - |