(Translated by https://www.hiragana.jp/)
পূর্ব এশীয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র - উইকিপিডিয়া

পূর্ব এশীয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র

এই ক্ষেত্রটি ঐতিহাসিকভাবে চীন সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হওয়া দেশসমুহ এবং অঞ্চলগুলিকে উল্লেখ ক

"সিনোস্পিয়ার", চীনা পরিমণ্ডল বা "পূর্ব এশীয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র" বলতে বোঝায়  পূর্ব এশিয়ার  একটি জোট দেশ এবং অঞ্চল  যেগুলি ঐতিহাসিকভাবে চীনা সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল। ধারণার অন্যান্য নামগুলির অন্তর্ভুক্ত হল সিনিক বিশ্ব, কনফুসিয়াস বিশ্ব, তাওধর্মী বিশ্ব এবং চীনা সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র।যদিও শেষটি  বিশেষ করে চীনা ভাষা জগতের জন্যও ব্যবহৃত হয়ঃ যেসব অঞ্চলে  বিভিন্ন ধরনের চীনা কথা বলা হয়।

সিনোস্পিয়ার
চীনা নাম
সরলীকৃত চীনা 东亚文化ぶんかけん
ঐতিহ্যবাহী চীনা 東亞とうあ文化ぶんかけん
ভিয়েতনামীয় নাম
ভিয়েতনামী বর্ণমালা Vùng văn hóa Đông Á
Hán-Nôm文化ぶんか東亞とうあ
কোরীয় নাম
হাঙ্গুল동아시아문화권
হাঞ্জাひがし아시아文化ぶんかけん
জাপানি নাম
কাঞ্জি 東亜とうあ文化ぶんかけん
কানা とうあぶんかけん

পূর্ব এশীয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র একটি কনফুসীয় নৈতিক দর্শন, বৌদ্ধ (বিশেষ করে জেন), তাওবাদ এবং ঐতিহাসিকভাবে, একই সাধারণ লিখন পদ্ধতি শেয়ার করে।  চীন, তাইওয়ান, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, মঙ্গোলিয়া এবং  মধ্য এশিয়ার কিছু অংশ পূর্ব এশীয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের প্রধান অঞ্চল, যেটি কখনও কখনও একটি জাতিগত ভিত্তিতে এবং কিছু প্রাচীন সাংস্কৃতিক সংযোগ থেকে অন্তর্ভুক্ত। যেমন সিঙ্গাপুর  কখনও কখনও চীনা অভিবাসীদের  কারণে অন্তর্ভুক্ত।

 পূর্ব এশীয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র এবং চীনা অক্ষর (Hànzì) সাংস্কৃতিক গোলক,   সিনোস্পিয়ার বা চীনা জগতের সঙ্গে অদলবদল করে ব্যবহার হয় তবে দুটির ভিন্ন ভিন্ন রূপ রয়েছে।

অধ্যয়ন বিষয়ক ব্যবহার

সম্পাদনা

আর্নল্ড জে টয়েনবী

সম্পাদনা

ব্রিটিশ ঐতিহাসিক আর্নল্ড জে টয়েনবী তার 'এ স্টাডি অফ হিস্ট্রি' নামক গ্রন্থে সুদূর প্রাচ্যের সভ্যতাকে একটি অন্যতম প্রধান সভ্যতা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি  সুদূর প্রাচ্য সভ্যতার মধ্যে জাপান ও কোরিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং প্রস্তাব করেছিলেন যে এটি চৈনিক সভ্যতা থেকে গড়ে উঠেছে যেটি হলুদ নদী অববাহিকা থেকে সম্ভূত।[১]   টয়েনবী হেলেনিক ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সাথে চৈনিক ও সুদূর প্রাচ্যের সভ্যতার সম্পর্কের তুলনা করেন। টয়েনবীর মতে, গ্রীক ও পাশ্চাত্য সভ্যতাগুলির মধ্যে "আপাত-সংহতির" সম্পর্ক ছিল, যখন পূর্ব প্রাচ্য বিশ্ব "চৈনিক সার্বজনীন রাষ্ট্র"এর "ভূত"/জিদ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল।[২]

সাংস্কৃতিক সমতা

সম্পাদনা

স্থাপত্য

সম্পাদনা

পূর্ব এশীয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের দেশগুলি প্রাচীন চীন স্থাপত্যের সাথে জড়িত একই স্থাপত্য শৈলীর অংশ।[৩]

বৌদ্ধধর্ম

চীন, জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ানভিয়েতনামের দেশগুলি বৌদ্ধধর্মের একই ইতিহাস ভাগ করে নিয়েছে।

তাওধর্ম

চীন, জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, এবং ভিয়েতনাম তাওবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।

কনফুসীয়ধর্ম

সম্পাদনা

চীন, জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের দেশগুলো কনফুসিয়ান দার্শনিক বিশ্ব-দর্শনকে ভাগ করে নেয়। কনফুসীয় একটি মানবতাবাদী [৪] দর্শন যেটি বিশ্বাস করে যে মানবমাত্রেই শিক্ষাগ্রহণে ইচ্ছুক, বিশেষ করে স্বশিক্ষা এবং স্বসৃষ্টি সহ ব্যক্তিগত ও সাম্প্রদায়িক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নততর ও নিখুঁত হতে পারে। কনফুসীয়ধর্ম সদ্গুণশিক্ষা এবং নৈতিকতা রক্ষণাবেক্ষণের উপর জোর দেয়, সবচেয়ে মৌলিক হল রেন  (ひとし), (/よし) এবং লি(れい/れい)।[৫] 'রেন' অন্য ব্যক্তিদের জন্য পরমার্থ এবং মানবতার একটি বাধ্যবাধকতা, 'ই' হল ন্যায় সমুন্নোত এবং ভাল কাজ করার নৈতিক স্বভাব এবং লি হল নিয়ম এবং আনুষ্ঠানিকতার একটি পদ্ধতি যা নির্ধারণ করে যে একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে সঠিকভাবে কী কাজ করা উচিত।[৫]

নব্য-কনফুসীয়ধর্ম

সম্পাদনা

চীনা ইতিহাসের দর্শন প্রাথমিকভাবে নব্য-কনফুসিয়ানধর্মের বিকাশ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়। তাং রাজবংশের সময় ভারতে বৌদ্ধধর্ম একটি বিশিষ্ট দার্শনিক ও ধর্মীয় নিয়ম হয়ে ওঠে। নব্য-কনফুসীয়ধর্ম তাং রাজবংশের মধ্যে নিহিত ছিল; কনফুসিয়ান পণ্ডিত হান ইউ সুং রাজবংশের নব্য-কনফুসিয়ানদের একজন পূর্বসূরি হিসাবে দেখা হয়।[৬] সুং রাজবংশের দার্শনিক ঝৌ ডুনি-কে দাওইস্ট যিনি আধ্যাত্মিকতাকে তার নৈতিক দর্শনের জন্য একটি কাঠামো হিসাবে ব্যবহার করেন, তাকে নব্য-কনফুসিয়ানসধর্মের প্রথম সত্যিকারের "অগ্রগামী" হিসেবে দেখা হয়। [৭]

আরও দেখুন

সম্পাদনা
  • চীনাজগত (ভাষাবিদ্যা)
  • চীনা সাহিত্য সংস্কৃতির গ্রহণ
  • পূর্ব এশিয়া
  • চীনা ভাষাভাষী বিশ্ব
  • সিনো-জেনিক উচ্চারণ

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

উদ্ধৃতিসমূহ

সম্পাদনা
  1. Sun, Lung-kee (২০০২)। The Chinese National Character: From Nationalhood to Individuality। M.E. Sharpe। পৃষ্ঠা 154। আইএসবিএন 978-0-7656-3936-3 
  2. Sun, Lung-kee (২০০২)। The Chinese National Character: From Nationalhood to Individuality। M.E. Sharpe। পৃষ্ঠা 188। আইএসবিএন 978-0-7656-0826-0 
  3. https://books.google.com/books?id=tA_3y2XsMMsC&printsec=frontcover#v=onepage&q&f=false
  4. Juergensmeyer, Mark (২০০৫)। Religion in global civil society। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 70। আইএসবিএন 978-0-19-518835-6 
  5. Craig, Edward. Philosophy: A Very Short Introduction. আইএসবিএন ০-১৯-২৮৫৪২১-৬ [[#CITEREF|]].
  6. Essentials of Neo-Confucianism: Eight Major Philosophers of the Song and Ming Periods by Huang, Siu-chi. [[#CITEREF|]].
  7. A Sourcebook of Chinese Philosophy by Chan, Wing-tsit. [[#CITEREF|]].